কলকাতা: বয়স ৬০ ছুঁই ছুঁই৷ কিন্তু তিনি যেন এখনও ১৬-র যুবক৷ ভরপুর যৌবনে উদ্দাম প্রেমের আনন্দে মাতোয়ারা৷ একে অপরের হাত ধরে এভাবেই প্রেমের অতলে তলিয়ে গিয়েছেন শোভন-বৈশাখী৷ এমনিতেই পুজো মানেই বাঙালির প্রেমের মরশুম৷ আর সেই মরশুমে সকলকে পিছনে ফেললেন শোভন-বৈশাখী জুটি৷
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ভোট পরবর্তী হিংসায় গ্রেফতার শেখ সুফিয়ানের জামাই সহ ১১ জন তৃণমূল কর্মী
কখনও তাঁরা এক সঙ্গে গান করছেন৷ কখনও নাচছেন৷ কখনও আবার বৈশাখী বলে উঠছেন, ‘আমার চোখে সকলেই শোভন’৷ স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর বৈশাখীর জীবন এখন শোভনময়৷ এরই মধ্যে ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাঁদের নতুন একটি ভিডিয়ো৷ ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালকে সাক্ষী রেখে ঘোড়ার গাড়ি করে ঘুরলেন এই লাভ বার্ডস৷ আরও একবার ভিক্টোরিয়ার সঙ্গে মিলেমিশে এক হয়ে গেল তাঁদের সম্পর্কের রসায়ন৷
শোভন-বৈশাখী প্রেম সাগরে ডুব দিলেও নেটপাড়ায় উঠেছে কটাক্ষের ঝড়৷ অনেকেই ৫৭-র শোভনের এই প্রকাশ্য প্রেমলীলা ভালো চোখে দেখছেন না৷ নানা ভাবে ট্রোলড করা হচ্ছে তাঁদের৷ একজন ইউজার শোভন-বৈশাখীর সেই ভিডিয়ো নিজের ফেসবুক ওয়ালে শেয়ার করে লিখেছেন, ‘‘লোক হাসানোর একটা সীমা থাকা উচিত।’’ বলে রাখা ভালো, এক বৈদ্যুতিন সংবাদমাধ্যমের বিশেষ অনুষ্ঠান সূত্রেই ভিক্টোরিয়ার সামনে শ্যুটিং করছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের ভিডিয়ো শেয়ার হতেই উপচে পড়ল কমেন্ট বক্স৷
কেউ লিখলেন ‘অশোভনী শোভন’, কেউ আবার বললেন, ‘নাটকের একটা শেষ থাকা উচিত।’ একজন তো আবার লিখেই বসলেন, ‘বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে৷’ তবে যে যাই বলুন না কেন, ডোন্ট কেয়ার শোভন-বৈশাখী৷ তাঁরা আছেন তাঁদের নিজের জগতেই৷ অন্যদিকে, শোভনের এই রোমান্স দেখে বৈশাখীর সটান প্রশ্ন- ‘‘তোমার মধ্যে যে এতো রোম্যান্স রয়েছে, তা তো আগে বুঝিনি… সত্যি করে বলোতো কলেজে পড়বার সময় কাকে নিয়ে ভিক্টোরিয়ায় প্রেম করতে আসতে?’’ তবে শুধু ভিক্টোরিয়া নয়, কখনও তাঁদের দেখা গিয়েছে প্রিন্সেপ ঘাটে, কখনও গড়ের মাঠে৷ কলকাতার প্রতিটি লাভস্পটে ছাপ রেখেছেন শোভন-বৈশাখী৷ আর লোকের কটূকথার জবাবে তাঁরা বলছেন, ‘কুছ তো লোক কহেঙ্গে, লোগো কা কাম হ্যায় কেহনা৷’