এখনই আর বসছে না স্টেন্ট, বুধবারই বাড়ি ফিরতে পারেন ‘মহারাজ’

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবারই বাড়ি ফিরবেন মহারাজ, হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই। 

263e0f95b29e61c1c94999ac5ccc7724

কলকাতা: অবশেষে একটা খুশির খবর সকলের জন্য। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে পরশু দিন অর্থাৎ বুধবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরতে পারেন বর্তমান বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। আপাতত একটি স্টেন্ট বসানোয় ভালই কাজ দিচ্ছে, তাই এই মুহূর্তে আর এনজিওপ্লাস্টি করা হবে না বলে জানা গিয়েছে। তাই সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বুধবারই বাড়ি ফিরবেন মহারাজ, হাসপাতাল সূত্রে খবর এমনটাই। 

এদিন সকাল সাড়ে ১১ টায় ৯ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের চিকিৎসা সংক্রান্ত ব্যাপারে আলোচনায় বসেন। মহারাজের বর্তমান শারীরিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার শহরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে আসছেন প্রখ্যাত হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি। তাই দাদার বাড়ি ফেরার ব্যাপারে আগামীকালই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে বলেই অনুমান। তবে আপাতত সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শারীরিক যা পরিস্থিতি তাতে বাড়ি ফেরার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি প্রবল। 

সৌরভ জায়া ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে সকলের প্রিয় দাদা আপাতত ভালোই আছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে সৌরভের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানানো হয়েছে, যদিও এখনও অত্যন্ত কঠোরভাবে তাঁকে পর্যবেক্ষণে রেখেছে চিকিৎসকরা। সৌরভের হৃৎপিণ্ডের ৩টি ধমনীতে ‘ব্লক’ ধরা পড়েছে। ডান দিকের ধমনীতে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করে স্টেন্ট বসানো হয়েছে ইতিমধ্যেই। বাঁ দিকের দু’টি ধমনীতে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করতে হবে কি না তাঁর সিদ্ধান্ত পরবর্তী ক্ষেত্রে নেওয়া হবে। এদিকে আজ শহরে এসেছেন প্রাক্তন বিসিসিআই সভাপতি তথা বর্তমান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে এসেও রাজনীতির কথা বলতে ছাড়েননি তিনি। বহিরাগত ইস্যুতে রাজ্যের সরকারকে তোপ দেখেছেন তিনি। মন্তব্য করেছেন, ভারত সরকারের কোন মন্ত্রী রাজ্যে আসলে তাকে বাইরের লোক বলা হচ্ছে, তাহলে এখানকার লোক কারা সেই প্রশ্ন তুলবেন তিনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার কেউ পশ্চিমবঙ্গে আসলে সে কি অপরাধ করে ফেলেন, প্রশ্ন তুলেছেন অনুরাগ। একইসঙ্গে বলেছেন, রাজ্যে আসার সবার অধিকার আছে, এটি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *