গণেশ পুজোয় দোরগোড়ায় তাড়স্বরে মাইক-ডিজে! টার্গেট শান্তিকুঞ্জ, অভিযোগ অধিকারীদের

গণেশ পুজোয় দোরগোড়ায় তাড়স্বরে মাইক-ডিজে! টার্গেট শান্তিকুঞ্জ, অভিযোগ অধিকারীদের

কাঁথি: আজ গণেশ চতুর্থী৷ গোটা রাজ্যেই আজ ধূমধাম করে পালিত হচ্ছে গণেশ পুজো৷ পুজো হচ্ছে কাঁথির অধিকারী পরিবারের দোরগোড়াতেও৷ গণপতির আবাহনকে কেন্দ্র করেও লাগল রাজনীতির রং৷ কাঁথির অধিকারী পরিবারের সঙ্গে শুরু হল স্থানীয় তৃণমূলের ঠাণ্ডা লড়াই৷ 

আরও পড়ুন- পুরো মন্ত্রিসভাকেই প্রচারে নামিয়ে দিয়েছেন, BJP-কে এত ভয়? মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

গণেশ পুজোর প্যান্ডেলে সকাল থেকেই বাজছে তাড়স্বরে মাইক। চলছে ডিজে। এদিকে মাইকের গমগম শব্দে নাজেহাল অধিকারী পরিবার। অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শিশির অধিকারী৷ কিন্তু অভিযোগ, এই বিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি৷ শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী বলেন, বাড়িতে বয়স্ক মা-বাবা আছেন৷ মাইকের শব্দে তাঁদের শরীর খারাপ লাগছে৷ এ বিষয়ে প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে৷ কিন্তু হাত পা গুটিয়ে বসে আছে তারা৷ এদিকে, যে ক্লাবে পুজো হচ্ছে, সেই ক্লাবের সদস্যরা তৃণমূলের সদস্য বলেই জানা গিয়েছে৷    

দিব্যেন্দুর কথায়, ইচ্ছাকৃত ভাবে শান্তিকুঞ্জের অদূরে ওই পুজো মণ্ডপে উচ্চস্বরে মাইক বাজানো হচ্ছে৷ পরিকল্পিত ভাবে তাঁদের পরিবার ও পাড়ার লোকজনকে উত্যক্ত করছে ‘সমন্বয়’ নামে ওই ক্লাবের সদস্য ও ছেলেপুলেরা৷ যার জেরে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলেও অভিযোগ তাঁর৷ উল্লেখ্য এই ক্লাবের পুজো সুপ্রকাশ গিরির পুজো নামেও পরিচিত৷ যিনি কিনা তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরির ছেলে৷ আর গিরিদের সঙ্গে অধিকারী পরিবারের বিবাদ কারও অজানা নয়৷ 

আরও পড়ুন- বাড়িতে পুজো সেরে ভবানীপুরে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা

এদিকে, বুধবার গণেশ পুজোর উদ্বোধনে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ৷ সেখানে গিয়ে তিনিও নাকি নিশানা করেছিলেন অধিকারী পরিবারকে৷ আর তার পর থেকেই শুরু হয় মাইকের উপদ্রব৷ তবে দিব্যেন্দুর এই অভিযোগ পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ৷ উল্টে পুজো নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূল নেতারা৷ তবে দিব্যেন্দুর অভিযোগ, নিয়ম ভেঙে রাত ১০টার পরেও পাড়ায় মাইক বেজেছে৷ ৬৫ ডেসিবেলের বেশি শব্দে মাইক বাজানো হয়েছে৷ এ বিষয়ে রাজ্যের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা)-কে ফোন করে অভিযোগও জানিয়েছিলেন তিনি৷ কিন্ত কোনও লাভ হয়নি বলেই দাবি৷    
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × two =