কলকাতা: আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লার ‘বঙ্গভঙ্গ’ মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের শেষ নেই। সাংসদের সেই মন্তব্যকে অনেক রাজ্য বিজেপি নেতা সমর্থন জানিয়েছেন। এবার তাঁর মত একই সুরে পৃথক রাজ্যের দাবি করে আওয়াজ তুললেন বিজেপির আরো এক বাঙালি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্য দাবি করলেন তিনি। অবশ্য ভাবেই এই মন্তব্যের পর আরও বেড়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
এক ভিডিও বার্তা দিয়ে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ দাবি করেছেন, বাংলার মানুষের চাকরি এবং উন্নয়নের জন্য পৃথক রাজ্য হওয়া জরুরী। তিনি বলছেন যে জঙ্গলমহলের জন্য আলাদা রাজ্যের দাবি তোলা কোন বড় ব্যাপার নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যদি বহিরাগত বলতে পারেন তাহলে এই দাবি যথেষ্ট সঙ্গত। এই প্রেক্ষিতেই বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুর, আসানসোল, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া বিষ্ণুপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর পূর্ব মেদিনীপুর, হুগলির কিছুটা অংশ নিয়ে জঙ্গলমহল রাজ্য তৈরি হবার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস মুখপাত্র কুণাল ঘোষ মন্তব্য করেছেন, একেবারে দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং প্রচারমুখী মন্তব্য করা হচ্ছে বিজেপির তরফে। বাংলার বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল তারা এখনো মেনে নিতে পারছে না সেই কারণে এই ধরনের মন্তব্য করে রাজ্যকে অশান্ত করার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে তারা। এই বিজেপি কিছুদিন আগে পর্যন্ত টুকরে টুকরে গ্যাং নিয়ে অনেক মন্তব্য করেছে। আর এখন বাংলায় নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাংলাকে টুকরো করার কথা বলছে তারা। কুণালের কটাক্ষ, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলার মানুষ কী রায় দিয়েছে এবং যে সব এলাকার কথা সৌমিত্র খাঁ বলছেন সেইসব এলাকায় মানুষকে চেয়েছেন তা হয়তো তিনি দেখেননি। সেই কারণে এখন এই ধরনের মন্তব্য করছেন।
উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জন বার্লা ইতিমধ্যেই ‘বঙ্গভঙ্গ’ নিয়ে সরব হয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে আলাদা রাজ্য হলে তবেই উন্নতি হবে উত্তরবঙ্গের। অর্থাৎ এক কথায় উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি তুলেছেন তিনি। এই দাবির পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ দুভাবেই সমর্থন করছেন রাজ্য বিজেপি নেতারা। স্বাভাবিকভাবেই এই ইস্যুতে এখন উত্তরবঙ্গ রাজনীতি।