কলকাতা: কাঁথি পুরসভায় প্রশাসক বদলে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দিল না কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি নেতা সৌমেন্দু অধিকারীর যে মামলা করেছিলেন সেই মামলায় সব পক্ষকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এ দিনের শুনানিতে। আগামী ২১ জানুয়ারির মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা পেশের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আদালতের তরফে। এই মামলার শুনানিতে আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, সব পক্ষের হলফনামা পেশের পরেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব।
এর আগে সোমবার এই মামলার শুনানি ছিল। সেই শুনানিতে ধাক্কা খান সৌমেন্দু অধিকারী। সোমবার শুনানিতে বিচারপতি অরিন্দম সিনহা রাজ্যের কাছে অপসারণের ব্যখ্যা চান। বিচারপতি বলেন, যে কাউকে পুর প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করতে পারে রাজ্য সরকার। পুর আইনে এ কথা বলা রয়েছে। রাজ্যের তরফে অ্যাটর্নি জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন, পুর আইন অনুযায়ী এই কাজে কোনও বাধা নেই। এরপর প্রশ্ন ওঠে, সৌমেন্দুকে সরিয়ে যাকে প্রশাসক পদ দেওয়া হল, তিনি নির্বাচিত কাউন্সিলার নন। রাজ্যের তরফে এর উত্তরে জানানো হয়, এর আগে বহুবার হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে এই রায় দেওয়া হয়েছে, এবং সেগুলোকে উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়। মামলায় কোনও সারবত্তা নেই বলে আর্জি জানানো হয় কাঁথি পুরসভার তরফে। উল্লেখ্য, সৌমেন্দু অধিকারীর হয়ে এই মামলা লড়েন আইনজীবী তথা সিপিএম নেতা বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।
উল্লেখ্য, ২০২০-র ১৯ মে শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দুকে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ করা হয়। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বর রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সৌমেন্দু অধিকারীকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেয়। এরপরই ১ জানুয়ারি বিজেপিতে যোগ দেন সৌমেন্দু অধিকারী। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারীর দলত্যাগের পর কাঁথিতে যে সভা করেছিল, তৃণমূল কংগ্রেস সেখানে অধিকারী পরিবারের কাউকেই দেখা যায়নি। এদিকে মঞ্চ থেকে বক্তৃতা দিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেছিলেন, কাঁথিতে কোনো একটা পরিবারের দখল নেই। সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয়, খড়দহের সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে বলেছেন, তিনি তাঁর বাড়িতেও পদ্ম ফোটাবেন!