কাঁথি: তাঁরা যেন থেকেও নেই, অথচ না থেকেও রয়ে গিয়েছে আলোচনায়। কাঁথিতে জনসভা করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় এক পরিবারকে আক্রমণ করলেন। জনসভায় স্পষ্ট দাবি করলেন, কাঁথি কোন নির্দিষ্ট পরিবারের জমিদারি নয়। সৌগত রায়ের এই মন্তব্যে হয়তো অনেক কিছু পরিষ্কার হয়ে গেল আবার নতুন করে জল্পনার সৃষ্টি হল। তবে এদিন কাঁথির সভামঞ্চে থেকে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ স্পষ্ট করে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প কেউ নেই।
এদিন কাঁথিতে তৃণমূলের জনসভা নিয়ে প্রথম থেকেই কটাক্ষ করে আসছে বিজেপি। কিন্তু সভা করে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ সৌগত রায় একের পর এক আক্রমণ করে গেলেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। সভার শুরুতেই সৌগত রায় দাবি করেন, আজ কাঁথিতে সর্ববৃহৎ মিছিল হয়েছে। এর পাশাপাশি উল্লেখ করে দেন, এই জায়গা কোনো নির্দিষ্ট পরিবারের জমিদারি নয়, বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে একটা বিষয় সৌগত রায় একেবারে স্পষ্ট করে দেন, সেটি হল তৃণমূল কংগ্রেস থেকে কে চলে গেলেও সেটা কোনভাবেই প্রভাব ফেলবে না দলে। এই প্রেক্ষিতে তাদের দলের ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের কথার পূর্ণ সমর্থন করে সৌগত রায় কটাক্ষ করেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের বাংলায় ৯৯ পেরোবে না ভারতীয় জনতা পার্টি।
এদিন কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকেও একের পর এক আক্রমণ করেন তিনি। জনসভায় আসা সকলকে মনে করিয়ে দেন, এখন দেশ সবচেয়ে বড় সংকটের মধ্যে দিয়ে চলছে। অর্থনৈতিক সঙ্কট যেমন রয়েছে, ঠিক তেমনি রয়েছে অপরিকল্পিত লকডাউন কার্যকর করার ফলে সাধারণ মানুষের সঙ্কট। এর পাশাপাশি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন কবে বেরোবে সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারকে তুলোধনা করেন সৌগত রায়। একইসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, বিজেপি সরকার এখন একের পর এক জিনিস বেচতে শুরু করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বিমানবন্দর, ব্যাঙ্ক এবং সরকারি বিভিন্ন সংস্থা।