কলকাতা: শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার পরেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গিয়েছে বাংলার জনসাধারণের মধ্যে। মেদিনীপুর তো বটেই, বাংলার অন্যান্য জেলাতেও শুভেন্দু অধিকারীর বিরোধী পোস্টার পড়তে শুরু করেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, নন্দীগ্রামে, যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর এতদিন একটা ভালো দখল ছিল বলে জানা গিয়েছিল, সেখানেও তাঁকে নিয়ে বিদ্বেষ প্রকাশ করছে সাধারণ মানুষ। এই প্রসঙ্গেই কথা বলতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে শহিদের মা শুভেন্দু অধিকারীর নিন্দা করছেন, তাঁর কোন ‘গড়’ আছে বলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস স্বীকার করে না।
এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর নন্দীগ্রামে দখল ছিল, এখন সেখানকার শহিদের মা তাঁর নিন্দা করছেন। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী ভারতীয় জনতা পার্টিতে যোগ দেওয়ার পর কেন নন্দীগ্রাম ছেড়ে বর্ধমানে সভা করছেন সেটাও তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না বলে জানান সৌগত। তৃণমূল সাংসদের কথায়, সাম্প্রদায়িক দলে যোগ দেওয়ায় শুভেন্দু অধিকারীর সমালোচনা করছেন সকলে, নিন্দা করা হচ্ছে তাঁর। এদিকে মেদিনীপুর বা রাজ্যের অন্য কোথাও শুভেন্দু অধিকারীর গড় আছে বলে স্বীকার করে না তৃণমূল কংগ্রেস এটাও এদিন স্পষ্ট করে দেন সৌগত রায়। এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ আরো জানান, বিজেপির এখন অনেকগুলো মুখের মধ্যে একটা মুখ শুভেন্দু অধিকারী। তাই ওর সভায় কত লোক হচ্ছে তার দিকে নজর রাখবে তৃণমূল কংগ্রেস। পাশাপাশি তাঁদের দলের পক্ষ থেকেও সভা করা হবে।
এর পাশাপাশি প্রশান্ত কিশোরের প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় মন্তব্য করেন, তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক স্ট্র্যাটেজিক বিজেপির বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তা তিনি সমর্থন করেন। একইসঙ্গে মনে করিয়ে দেন, এই প্রশান্ত কিশোর বিগত ৫ টি নির্বাচনে সফল হয়েছেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীকেও তিনি সাহায্য করেছিলেন নির্বাচনের আগে। সৌগত রায়ের কথায়, প্রশান্ত কিশোর এবং তার দল শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের নির্বাচনে সাহায্য করছেন মতামত দিয়ে, তাদের সঙ্গে দলের কোনো সম্পর্ক নেই। একটা কোম্পানির যেরকম কনসালটেন্ট থাকে, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের দলের ঠিক একই সম্পর্ক।