নিজস্ব প্রতিনিধি, সোনারপুর: পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিল রেল। বিশেষ ট্রেন চালু রাখা হলেও যাত্রী বিক্ষোভ এড়াতে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হল শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টেশনগুলিতে। স্টেশনগুলিতে প্রতি পদক্ষেপ্ বসানো হল নিরাপত্তা বেষ্টনী। যাতে সোনারপুর স্টেশনের মত পরিস্থিতি তৈরি না হয়ে যায়৷
গত ৮ অক্টোবর শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টাফ স্পেশাল ট্রেন থেকে আমজনতাকে নামাতে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে যাত্রীদের খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় সোনারপুরে স্টেশনে৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে এলোপাথাড়ি পাথর বৃষ্টি। পাথরের আঘাতে ট্রেনের জানলার কাঁচ ভেঙে যায়৷ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে৷ ঘটনায় ২ জন যাত্রী জখম হন৷ ৭ জনকে গ্রেফতার করে রেল পুলিশ৷
এই ঘটনার পরিপেক্ষিতে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার স্টেশনগুলিতে কড়া নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিল রেল কর্তৃপক্ষ। নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হচ্ছে স্টেশনগুলি। চেকিং করে মানুষজনকে ঢোকানো হচ্ছে প্লাটফর্মগুলিতে৷ ক্যানিং, ঘুটিয়ারি শরিফ, চম্পাহাটি সোনারপুর, বারুইপুর, কাকদ্বীপ, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ডহারবারসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে ঢোকার মুখেই আটকে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের৷ এমনকি স্টেশনগুলিতে চলছে মাইকিং। যাতে অবৈধভাবে প্ল্যাটফর্মে যাত্রীরা না ওঠেন৷ শুধুমাত্র রেলের কর্মীরা এবং জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে তারা বিশেষ ট্রেনে উঠতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে৷ এদিকে রেলের কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা চোখে পড়ার মতো৷ কোন ভাবে যাতে অবাঞ্ছিত কেউ প্ল্যাটফর্মে প্রবেশ করতে না পারে, তার জন্য চলছে বিশেষ নজরদারি।
স্টেশনে ঢোকার মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রেল পুলিশ ও টিকিট পরীক্ষকরা। ফলে একমাত্র যারা রেলের স্টাফ বা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত শুধু তাদের ছাড় দেওয়া হচ্ছে। তবে দীর্ঘ ছমাস ট্রেন বন্ধ থাকায়, বাস চালু থাকলেও দ্বিগুণ বেড়ে গেছে ভাড়া৷ পুজোর মরসুমে ট্রেনের আকাল থাকায় বাস নিয়ে সমস্যা হওয়ায় রীতিমত ক্ষেপ্ গেছে মানুষ৷ ফলে স্পেশাল ট্রেন ওদিন চড়ে বসে ক্ষুব্ধ জনতা৷ শীগগিরই এর ব্যবস্থা না হলে নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে হতে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিহাল মহল৷