কলকাতা: ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ হতেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা৷ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে শুক্রবার দুপুরে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে তৃণমূল কংগ্রেস৷ তালিকা ঘোষণা হতেই দেখা যায়, এই বার প্রার্থী তালিকায় রয়েছে অসংখ্য নতুন মুখ৷ রয়েছে একাধিক তারকা প্রার্থী৷ কিন্তু নতুনদের জায়গা দিতে বাদ পড়েছেন ‘পুরনো হেভিওয়েট’রা৷ সাতগাছিয়ায় টিকিট না পেয়ে একেবারে কান্নায় ভেঙে পড়লেন সোনালী গুহ৷ আবার টুইট করে আরাবুল ইসলাম বললেন, দলে আজ আমার প্রয়োজন ফুরালো৷
আরও পড়ুন- প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হতেই বিদ্রোহ তৃণমূলের অন্দরে, কারও চোখে জল
টিকিট না পেয়ে সোনালী বলেন, ‘‘দীর্ঘদিন একসঙ্গে থাকার দাম দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আর তাঁর দল৷ উনি তো মহিলাদের সম্মান করেন৷ ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস৷ তার আগে সম্মান পেলাম৷ আমি শুধু মমতাদির রাজনৈতিক সঙ্গী ছিলাম তাই নয়, আমি ওঁনার বাড়ির লোক ছিলাম৷ সেখানে দিনের পর দিন থাকা-খাওয়া করেছি৷ মমতাদি এটা করতে পারেন, সেটা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মমতা দি জানেন আমার ডায়াবেটিস আছে৷ উনি আমাকে একবার ডেকে বলতে পারতেন, সোনালী এর জন্য তোকে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না৷’’ এদিন কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন সোনালী গুহ৷ চারবার জেতার পরেও একুশের ভোটে তিনি ব্রাত্য৷ তবে তাঁর কথায়, ‘‘দিদি যেটা ভালো বুঝেছে, সেটাই করেছে৷ আমি শুধু বলব মমতাদিকে ভগবান শুভ বুদ্ধি দিক৷ উনি যেন আবার মুখ্যমন্ত্রী হন৷’’
আরও পড়ুন- নন্দীগ্রামে ‘বহিরাগত’ মমতা! নিজের কেন্দ্র ছেড়ে পালাচ্ছেন কেন, প্রশ্ন শুভেন্দুর
অন্যদিকে প্রার্থী তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষোভের সুর শোনা গেল আরাবুল ইসলামের গলায়৷ টুইট করে ভাঙড়ের দাপুটে নেতা লেখেন, ‘আজ দলে আমার প্রয়োজন ফুরাল।’ সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আজ খবর পেয়ে হাজার হাজার মানুষ আমার বাড়িতে উপস্থিত হয়েছে৷ এই দলটাকে বুকে আগলে নিয়ে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে লড়াই করেছি৷ ভাঙরের মানুষ যা বলবে, আমি সেটাই করব৷’’ কথা বলতে গিয়ে গলা ধরে আসে তাঁরও৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি আর দলের কোনও বিষয়ে নেই৷ যাঁকে প্রার্থী করা হয়েছে, তিনি ভাঙরকে চেনেন না৷ তাঁর পক্ষে ভাঙরের পরিস্থিতি বোঝা সম্ভব নয়৷’’