কলকাতা: হৃদয়পুরে শ্যালিকাকে খুনের অভিযোগে গোরবডাঙা থেকে গ্রেফতার জামাইবাবু। ধৃতের নাম জয়দেব সাহা৷ বাড়ি বারসতেক রামকৃষ্ণ পল্লী এলাকায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদয়পুর আপনপল্লী এলাকায় রজস্যজনক ভাবে সোমবার রাতে খুন হয় শম্পা সরকার (৪৫) নামে এক বিধবা মহিলা। বিধবা মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান।
ঘটনার পর থেকেই মৃত মহিলার বোনের স্বামী জয়দেব সাহা পলাতক ছিলেন। তখনই পুলিশের মনে সন্দেহ বাদে। এই খুনের ঘটনায় জয়দেব সাহা জড়িত থাকার আশঙ্কা করা হয়েছিল। ঘটনার তদন্তে বারাসত থানার পুলিশ এবং গোবরডাঙ্গা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাতেই গোবরডাঙ্গা থানার হায়দাতপুর এলাকায় এক আত্মীয়র বাড়ি থেকে অভিযুক্ত জয়দেবকে গ্রেপ্তার করেন৷ তবে এখনও খুনে ব্যবহৃত দা উদ্ধার হয়নি এবং এই খুনের ঘটনার সঙ্গে মৃতার জামাইবাবু জয়দেব জড়িত রয়েছেন বলে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান। ধৃতকে আজই বারাসত আদালতে তোলা হবে৷ তবে কি কারণে খুন করা হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷
অন্যদিকে জায়গা দখলের প্রতিবাদ করায় বাবা ও ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পুকুরিয়া থানার ইসলামপুর এলাকায়। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, আক্রান্ত বাবার নাম জুমমুদ্দিন শেখ। হাঁসুয়া দিয়ে তার মাথায় এবং হাতে কোপানোর অভিযোগ উঠেছে। অন্যদিকে আহত ছেলের নাম সাদ্দাম হোসেন।
বর্তমানে তাঁরা দুজনই মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ তাদের পাঁচ শতক জায়গা রয়েছে। এদিন সকালে সেই জায়গার দখল নিতে আসে প্রতিবেশী সিস মোহাম্মদ এবং তার পরিবার। অভিযোগ প্রতিবাদ করায় হাঁসুয়া এবং লাঠিসোটা দিয়ে তাদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়। ঘটনায় বাবা ও ছেলে আহত হয়। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুখুরিয়া থানার পুলিশ।