রাজীবের মান ভাঙাতে আসরে তৃণমূল, ফোন এক শীর্ষ নেতার

রাজীবের মান ভাঙাতে আসরে তৃণমূল, ফোন এক শীর্ষ নেতার

fb7266125fdff7446b9cb98f429c1e9e

কলকাতা: সদ্য মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এখনো পর্যন্ত অন্য কোন দলে যোগ দেবেন কিনা সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি। তবে তাঁকে নিয়ে বিশেষ ঝুঁকি নিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রশমনে চেষ্টা করা হচ্ছে তবে তরফে। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই রাজীব বন্দোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। দল না ছাড়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

সূত্রের খবর, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টায় তাঁকে ফোন করেছেন তৃণমূলের এক শীর্ষ নেতা। অনুরোধ জানান হয়েছে, আপাতত যাতে তিনি দল না ছাড়েন।আরও জানা যাচ্ছে, তিন মাস পর্যন্ত তাঁকে অপেক্ষা করার অনুরোধ করা হয়েছে দলের তরফ থেকে! যদিও এখনও পর্যন্ত সরাসরি শাসক দলের কারোর পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে মন্তব্য করা হয়নি, প্রতিক্রিয়া দেননি রাজীব বন্ধোপাধ্যায় নিজেও। এদিকে আজই তৃণমূল কংগ্রেসকে কার্যত চ্যালেঞ্জ জানিয়েই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি ডোমজুড় কেন্দ্র থেকেই ভোটে দাঁড়াবেন। যদিও দলবদল এখনই তিনি করছেন কিনা সে ব্যাপারে কোনো ইঙ্গিত দেননি রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে হোক কিংবা অন্য কোন দল, ডোমজুড় থেকেই যে তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন তা একভাবে স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি আজ। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ডোমজুড়ের মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মার সম্পর্ক রয়েছে। আগামী দিনে মানুষ শেষ কথা বলবে, তারা বুঝিয়ে দেবে কে ঘরের লোক আর কে বাইরের লোক। তাই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়েছেন, নির্বাচনে দাঁড়াতে তিনি ডোমজুড়ের বাইরে কোথাও দাঁড়াবেন না, এখান থেকেই নির্বাচনে লড়বেন। 

মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় কার্যত ব্যাপকভাবে জল্পনা সৃষ্টি করেছেন যে তিনি বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন। এই মাসের শেষেই ফের একবার বঙ্গ সফরে আসছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা এই মঞ্চ থেকেই অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। ‌ যদিও এ ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। তবে আজ যেভাবে তিনি ডোমজুড় থেকে ধরার কথা ঘোষণা করলেন তাতে একটা কথা স্পষ্ট, লড়াইয়ের ময়দানে তিনি ছেড়ে কিছুতেই যাবেন না। সে যদি তাকে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় তাও তিনি নিজের চেনার ঢংয়েই নির্বাচনে লড়বেন। মন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছিলেন যে তাকে ক্রমাগত ব্যক্তিগত আক্রমণ করা হচ্ছে এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত তিনি আহত হয়েছিলেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে দলের তরফে তাঁর সম্পর্কে বলা হয় যে তিনি দলে না থাকলে কোনো প্রভাব পড়বে না। তবে আজ দলের এক শীর্ষ নেতার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ফোন যাওয়ার ব্যাপারটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে হচ্ছে। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার আগেও তাঁর সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সৌগত রায়। যদিও সেই বৈঠকে আখেরে কোনো লাভ হয়নি তাতো স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কি একই জিনিস হবে, তাতো সময় উত্তর দেবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *