খড়গপুর: জনবহুল এলাকায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিংয়ের দিকে নজর রাখতে এবার নতুন ধরণের এই বেসড সাইবার ফিজিক্যাল সিস্টেম চালু করল আইআইটি স্বায়ত্তশাসিত গ্রাউন্ড ভেহিক্যাল গবেষণার গ্রুপ৷ রোবোটিকস গবেষণার সেন্টার অব এক্সেলেন্সের অধীনে কাজ করে এই গ্রুপ৷
করোনা প্রযুক্তি গবেষকদের দিনের পর দিন গবেষণাগারে আটকে রেখেছে অতিমারী থেকে বেরনোর উপায় বের করতে৷ এই উপায়ের অধিকাংশই হেলথকেয়ারের জিনিস, যা রোগ প্রতিরোধ ও সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়তা করে৷ ভারতের মতো অতি জনঘনত্বের দেশে সোশযাল ডিস্ট্যান্সিং মানা যতটা কঠিন ঠিক, ততটাই অসম্ভব প্রশাসনের পক্ষেও৷ ৭৫ দিন পরে দেশে যখন আনলক প্রক্রিয়া চালু হয়েছে, তখন নিউ নর্ম্যালের পদ্ধতি বেশ খানিকটা অন্যরকম হতে চলেছে৷ ক্যামেরার সহায়তা তোলা এলাকার ছবি দেখে কেন্দ্রীয় সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রকের বেধে দেওয়ার দূরত্ববিধি হিসেব করে নিতে পারে এই যন্ত্র৷
এই গ্রুপের দায়িত্বে থাকা প্রফেসর দেবাশিস চক্রবর্তী ও প্রফেসর আদিত্য বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তৈরি এই যন্ত্রে উপস্থিত হার্ডওয়্যারের দৌলতে সহজেই কাজ করা সম্ভব হয় লকডাউন জারি হওয়া এলাকায়৷ অন্যান্য বিষয়ের বিশেষজ্ঞদের সঙ্গেও এই প্রজেক্টে কাজ হয়েছে৷ কাজ করেছেন প্রফেসর সিদ্ধার্থ মুখোপাধ্যায়, প্রফেসর সুর্য কে পাল এবং প্রফেসর সমীর কে পাল। এজিভির আবিষ্কারকদের দাবি, তাদের উদ্দেশ্য লকডাউন পরিস্থিতির জন্য একটি ডিজাইনের তৈরির বদলে একটি যন্ত্র তৈরি করা৷ এক্কেবারে অজ পাড়াগাঁয়েও যাতে এই যন্ত্রের প্রয়োজনীয় জিনিস মেলে সেদিকে নজর রাখা হয়েছে এবং দাম রাখার জন্য সহজলভ্য ও কমদামী জিনিস দিয়ে এই যন্ত্র তৈরির চেষ্টা করা হয়েছে৷ বাজার বা মলের মতো জনবহুল এলাকায় এই যন্ত্রের সহায়তায় সোশ্যাল ডিস্ট্যান্সিং মানা যাবে বলে গবেষকরা আত্মবিশ্বাসী৷
আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর প্রফেসর ভি কে তিওয়ারীর সামনে এটি প্রদর্শনের পর তিনি এর প্রশংসা করেন৷ তাঁর দাবি, সমাজের শেষ ব্যক্তির পর্যন্ত যাতে জীবনের মান্নোয়ন হয় সেদিকে নজর রাখাই তাঁদের দায়িত্ব৷ দাম এবং মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা মাথায় রেখে তাঁরা দেশ ও সমাজের জন্য করোনা সংক্রান্ত জিনিসপত্র তৈরি করে চলেছেন বলেও দাবি তাঁর৷