‘এত ভয় যে আমাকে ছেড়ে বউকে টার্গেট করছে’, তোপ অভিষেকের

‘এত ভয় যে আমাকে ছেড়ে বউকে টার্গেট করছে’, তোপ অভিষেকের

কাঁথি:  সম্প্রতি বঙ্গ রাজনীতিতে যুযুধান দুই নেতার  দ্বৈরথে নিশানায় চলে এসেছেন অভিষেক জায়া৷ এদিন কাঁথির সভা থেকে তাঁর জবাব দিলেন যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি৷ অধিকারী গড়ে দাঁড়িয়ে নাম না করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷

আরও পড়ুন- ‘দুধ মাঙ্গো ক্ষীর দেঙ্গে, বালি মাঙ্গো তো *** দেঙ্গে’, বৈশালীকে আপত্তিকর মন্তব্য মদনের!

নাম করেই এদিন তোপ দেগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এত ভয় যে, আমার সঙ্গে লড়াই না করে আমার বউকে টার্গেট করেছে৷ বলছে, আমার বউয়ের অন্যত্র অ্যাকাউন্ট আছে৷ আমার বউয়ের কলকাতা ছাড়া কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই।’’ তিনি বলেন, ‘‘বলা হচ্ছে আমার বউ নাকি ২ বছর আগে এয়ারপোর্টে সোনা নিয়ে ধরা পড়েছিল। তোর সিআইএসএফ কি নাকে নস্যি দিয়ে ঘুমোচ্ছিল? ’’ ‘‘ধরা পড়লে সেই সিসিটিভি’র ফুটেজ কেন প্রকাশ্যে আনা হচ্ছে না?’’ পাল্টা প্রশ্ন অভিষেকের৷ সেই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘আমার তোলাবাজির প্রমাণ দিতে পারলে ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুবরণ করব।’’ 

এদিন জেল থেকে সুদীপ্ত সেনের হাতে লেখা চিঠি তুলে ধরে অভিষেক বলেন, এখানে লেখা রয়েছে শুভেন্দু অধিকারি ৬ কোটি টাকা নিয়েছিল৷ শুভেন্দুই রাখাল নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে সারদার ভাইস প্রেসিডেন্ট সোমনাথ ও সারদা কর্তার সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন৷ কিন্তু এই রাখাল কে? কোথায় গরু চড়াত? 

হুঁশিয়ারি দিয়ে অভিষেক বলেন, ‘‘যাঁরা সারদা, রোজভ্যালিতে টাকা রেখে সর্বশান্ত হয়েছেন তাঁরা বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলুন৷ গদ্দারের বাড়ি ঘেরাও করুন৷ সিবিআই আর ইডি’র উপর আস্থা রেখে কোনও লাভ নেই৷’’ সারদা কর্তা তাঁর চিঠিতে জানিয়েছে, যে দিন ফেরার হয়েছিলেন তার আগের দিনও তাঁর অফিসে গিয়ে টাকা নিয়ে এসেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁকে  ব্ল্যাকমেল করা হচ্ছিল৷ অভিষেক বলেন, ‘‘কারা এই ব্ল্যাকমেলে করছিল জানানে? তাঁরা হল রাখাল, এখানকার এক সাংসদ এবং মীরজাফর অধিকারী৷’’ 

আরও পড়ুন- ‘মীরজাফর অ্যান্ড কোম্পানির জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যাবে’, শুভেন্দু গড়ে হুঙ্কার অভিষেকের

তিনি আরও বলেন, ‘‘হলদিয়ায় একসাইড কোম্পানিতে কত লক্ষ টাকা নিয়ে কত জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, সব তথ্য রয়েছে আমার হাতে৷ আর রাখালের সঙ্গে এলামুলের কী সম্পর্ক ছিল, মুর্শিদাবাদের কোথায় গরু চড়াত আর কত টাকা করে মাসে নিত সেই তথ্যও রয়েছে৷’’  

‘‘ছ’মাস আগে যে বলত বিজেপি হঠাও দেশ বাঁচাও এখন সে বলছে তৃণমূল হঠাও৷ এখন বলছে রাজ্য আর কেন্দ্রে এক সরকার আনতে হবে৷ চুরি করতে সুবিধা হবে বলে?’’ তোপ অভিষেকের৷ তিনি বলেন, ডবল ইঞ্জিন সরকার গড়লে সিবিআই, ইডি, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ কেই পিছনে লাগব না৷ বলছে, বাংলাকে মোদীজির হাতে তুলে দিতে হবে৷ বাংলা কি জয় নগরের মোয়া? মোদাজির হাতে মেদিনীপুর তুলে দেখাক৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

5 × five =