‘মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি’! হাওড়ায় দলীয় কর্মীর বাড়িতে পঞ্চব্যঞ্জনে আহার স্মৃতি ইরানির

‘মধ্যাহ্নভোজের রাজনীতি’! হাওড়ায় দলীয় কর্মীর বাড়িতে পঞ্চব্যঞ্জনে আহার স্মৃতি ইরানির

হাওড়া: একুশের নির্বাচনের আগে বাংলা জয়ের নেশায় বিভোর বিজেপি নেতৃত্ব বারবার ছুটে এসেছিলেন বঙ্গ ভূমিতে৷ রাজ্যের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ছুটে বেরিয়েছিলেন তাঁরা৷ হুঙ্কার দিয়েছিলেন ২০০-র বেশি আসনে জিতে ক্ষমতায় আসবেন৷ আর এই ছুটে চলার মাঝেই তাঁদের অন্যতম রণকৌশল ছিল ‘মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি’৷ বিজেপি’র কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এটা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, বাংলা জয়ের অন্যতম ফ্যাক্টর হবে দলিত, আদিবাসী, উদ্বাস্তুদের ভোট৷ তাই আমিত শাহ থেকে জেপি নাড্ডা, কখনও দলিত, কখনও আবার উদ্বাস্তুদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন৷ এর মাধ্যমে চেয়েছিলেন সুকৌশলে বার্তা দিতে৷ বিজেপি অবশ্য বাংলা দখল করতে পারেনি৷ এ রাজ্যে সংগঠনের হালও নড়বড়ে৷ কিন্তু, জারি রয়েছে মধ্যাহ্নভোজ রাজনীতি৷ 

আরও পড়ুন- ডিভিশন বেঞ্চে আনিস মৃত্যু মামলা, শুনানি হবে দ্রুত

গতকাল শিয়ালদহ মেট্রো স্টেশনের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি৷ মঙ্গলবার তিনি পৌঁছে যান হাওড়ায়৷ বালটিকুড়িতে সারেন জনসংযোগের কাজ৷ স্বাধীনতার ৭৫ বছর উপলক্ষে এ দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর  নেতৃত্বে হাওড়ার কদমতলা বাস স্ট্যান্ড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত পদযাত্রা করা হয়। সব শেষে  বালটিকুড়ির বিজেপি পৃষ্ঠ-প্রমুখের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন স্মৃতি।

এদিন নিরামিষ পদেই মধ্যাহ্নভোজ সারেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মেনুতে ছিল- ভাত, মুগের ডাল, আলু ভাজা, পটল ভাজা, বেগুনভাজা,আলু পোস্ত, শুক্ত, চাটনি এবং দই। মধ্যহ্নভোজের মাঝেই দলীয় কর্মীর বাড়ির খুদেদের কখনও কোলে বসিয়ে আদর করলেন তিনি, কখনও আবার খাইয়ে দিলেন নিজের হাতে৷ খাওয়া শেষে বাড়ির মহিলাদের সঙ্গে আড্ডা দিতেও দেখা যায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে।