কলকাতা: গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক অভিনব প্রতিবাদ দেখেছে রাজ্য। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে ব্যাটারি চালিত স্কুটার করে নবান্নে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরার সময় নিজেই স্কুটি চালান। যদিও অনভ্যস্ত হওয়ায় বেশ টলোমলো পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুটি চালানো নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধীদলগুলো। এদিন শহরে এসে পরিবর্তন যাত্রায় অংশ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি হয়তো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কার্যত জবাব দিলেন, অবশ্যই স্কুটি চালিয়ে।
আজ গড়িয়া স্টেশন এলাকা থেকে এই পরিবর্তন যাত্রা শুরু করে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবির। যেখানে স্কুটি চালিয়ে অংশ নেন স্মৃতি ইরানি। সঙ্গে ছিলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় এবং অগ্নিমিত্রা পালও। জানা গিয়েছে, আজ বিজেপির এই পরিবর্তন যাত্রা গড়িয়া স্টেশন থেকে খেয়াদা হয়ে ভাঙড় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে। তারপর সেটি দমদমের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে। গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুটি চালানোর পর সেই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করে ইতিমধ্যেই বিজেপির তরফ থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কটাক্ষ করে বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্কুটার আর রাজ্য কিছুই চালাতে পারেন না। অন্যদিকে সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া অভিনেত্রী পায়েল সরকারও নিজের স্কুটি চালানোর ছবি পোস্ট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিয়েছেন। সব মিলিয়ে এখন যেন রাজ্য রাজনীতি টক্করের প্রধান চরিত্র হয়ে উঠেছে স্কুটি।
এদিন নিজের ফেসবুক পোস্টে যে ছবি দিলীপ ঘোষ দিয়েছেন তাতে দেখা যাচ্ছে, একদিকে স্কুটি চালাতে গিয়ে প্রায় পড়ে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে ঘিরে ধরে রয়েছে বেশ কয়েকজন এবং তাঁকে পড়ে যাওয়া থেকে বাঁচাচ্ছেন একজন। ঠিক এর পাশে নিজের সাইকেল চালানোর ছবি পোস্ট করেছেন দিলীপ ঘোষ। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিনি বিনা কোন বাধায় অনায়াসে সাইকেল চালাচ্ছেন। মমতার ছবির সঙ্গে লেখা রয়েছে, “অসহায়তা, অকৃতকার্যতা বা পরনির্ভরতা”। অন্যদিকে নিজের ছবির সঙ্গে তিনি লিখেছেন, “আত্মনির্ভরতা, স্বয়ংসম্পূর্ণতা বা আত্মপ্রত্যয়”। দুটি ছবির উপরে একদিকে লেখা রয়েছে ‘মমতা সরকার’, অন্যদিকে ‘সোনার বাংলার সরকার’।