পুরুলিয়া: ভোটের দিন সকালে একটি খবর ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে ছিল যে পুরুলিয়ায় ভোট কর্মীদের একটি গাড়ি মাওবাদী কায়দায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয় রাসায়নিক ঢেলে। কিন্তু এখন জানা গিয়েছে ওই গাড়ি ভস্মীভূত হওয়ার ঘটনায় সবচেয়ে বড় কারণ ধূমপান! গাড়িটির চালক চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি করে জানিয়েছেন, বিড়ির আগুন থেকে পুড়ে গিয়েছে গাড়িটি। এতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসনের আইন-শৃংখলার ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। এখন আপাতত এই তথ্যে খানিকটা স্বস্তিতে প্রশাসন।
গতকাল রাতে ঝাড়খন্ড সীমান্তের কাছে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভোট কর্মীদের একটি গাড়ি বুথের দিক থেকে ফিরছিল ভোট কর্মীদের বুথে নামিয়ে। সেই গাড়িকে থামানোর জন্য বেশ কয়েকজন এগিয়ে আসে, তাদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। গাড়ি থামিয়ে চালককে নিচে নামিয়ে রাসায়নিক ছুড়ে গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যতক্ষণে কেন্দ্রীয় বাহিনী এলাকায় আসে ততক্ষণে পালিয়ে যায় তারা। এদিকে, পটাশপুরে রাতভর বোমাবাজি হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছেন পটাশপুর থানার ওসি। অন্যদিকে ঝাড়গ্রামে আহত হয়েছেন তৃণমূল কর্মী এবং যার দায় গিয়ে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের উপর।
পটাশপুরে বোমাবাজি ও ওসির আহত হওয়ার ঘটনায় জেলা পুলিশের কাছে ইতিমধ্যেই রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন৷ আজ বিকেলের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে৷ অন্যদিকে, গোটা ঘটনার পিছনে ‘পাকিস্তানি’দের দিকে আঙুল তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাতে কিছু পাকিস্তানি ফুলবাড়ি এলাকায় গোলমাল করেছে৷ পটাশপুরে অশান্তি হয়েছে৷ সেখানে ওসি আহত হয়েছেন৷ ওঁদের আমি কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মী বলে মনে করি না৷ ওরা পাকিস্তানি৷’’