কলকাতা: এমএলএ হস্টেলের গেটের বাইরে ২০১৬ সালের SLST চাকরিপ্রার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভে তুলকালাম। তাঁদের টেনেহিঁচড়ে সরাল পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি কিড স্ট্রিটে। বিক্ষুদ্ধদের দাবি, আজ অর্থাৎ বুধবারই বিধানসভায় তাঁদের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে হবে।
রাজ্যের অশান্তি থেকে মণিপুর প্রসঙ্গ, বিভিন্ন ইস্যুতে বিধানসভা উত্তাল হলেও, কোনও দল একবারের জন্যেও চাকরি প্রার্থীদের প্রসঙ্গ তোলেনি বিধানসভায়। এই অভিযোগেই এদিন সকালে কলকাতার কিড স্ট্রিটে এমএলএ হস্টেলের গেটে বিক্ষোভে বসেন ২০১৬ সালের এসএলএসটি চাকরি প্রার্থীরা। তাঁদের অভিযোগ, বিধানসভায় কেউ নিয়োগ জটিলতার প্রসঙ্গ তুলছে না। চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে নিন্দায় সরব হন বিজেপি বিধায়ক নিলাদ্রীশেখর দানা, শঙ্কর ঘোষেরা। এদিকে, অসহায় পরিস্থিতিতে কান্নায় ভেঙে পড়েন চাকরী প্রার্থীরা।
এরই মধ্যে বিক্ষোভকারীদের অকুস্থল থেকে হঠাতে ময়দানে নামে পুলিশ। প্রথমে ৫ মিনিটের মধ্যে জায়গা খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা অবস্থানে অনড় থাকে। তাঁরা বলেন, ‘‘আজ আমাদের এখানে থাকার কথা ছিল না। আমাদের স্কুলে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ৯০০ দিন ধরে রাস্তায় পড়ে আছি আমরা। আমাদের কথা কেউ ভাবছে না।” এরপরই বিক্ষোভকারীদের জোর করে টেনে হিঁচড়ে তোলার চেষ্টা করে পুলিশ। তাতে বাধা দেন শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, মহিলা পুলিশ ছাড়া মহিলাদের গায়ে হাত দেওয়া যাবে না৷ তাঁদের তোলা যাবে না। এরপরই একটি বাস এনে বিক্ষুদ্ধদের আটক করে লালবাজারে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পুলিশ যখন তাঁদের টেনে হিঁচড়ে তুলছে তখন বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজনকে বিধায়কদের হস্টেলের গেটে মাথা ঠুকতে দেখা যায়। ‘আমরা নিয়োগ চাই’, এই দাবি তুলে কেঁদেও ফেলেন বিক্ষোভকারীরা। অনেক আবার রাস্তাতেই শুয়ে পড়েন।
সেই সময় বিজেপির একাধিক বিধায়ককে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁরা রাজ্য সরকারের ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেন। বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা পুলিশের উদ্দেশে বলেন, ‘টানা হেঁচড়া করবেন না। এদের গণতান্ত্রিক অধিকার আছে। এরা আমাদের বাড়ির মেয়ে। এরা পশ্চিমবঙ্গের মেয়ে। অনুরোধ করে তুলুন। এদের দাবি মিটিয়ে তুলুন।’