কলকাতা: সাময়িক স্বস্তিতে মুখমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান৷ বিজেপি কর্মী খুনের মামলায় তাঁকে রক্ষাকবচ দিল সুপ্রিম কোর্ট৷ ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রেফতার করা যাবে না শেখ সুফিয়ানকে৷ বৃহস্পতিবার এই রায় দেয় শীর্ষ আদালত৷
আরও পড়ুন- নেতাই যেতে শুভেন্দুকে বাধা, রাজ্যের কাছে হলফনামা চাইল হাইকোর্ট
একুশের বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট ছিলেন শেখ সুফিয়ান৷ নীলবাড়ি দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল জয়ী হলেও, নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ভোট পরবর্তী সময়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হিংসার খবর উঠে আসতে থাকে৷ ঠিক সেই সময়েই খুন হন নন্দীগ্রামের এক বিজেপি কর্মী৷ এই খুনের মামলায় নাম জড়ায় শেখ সুফিয়ানের। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। এর আগে গ্রেফতারি এড়াতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট। কিন্তু সেখানে রক্ষা কবচ না পেয়ে তিনি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন। বৃহস্পতিবার ছিল সেই মামলায় শুনানি৷ ওই মামলায় বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাও ও বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের বেঞ্চ সুফিয়ানকে গ্রেফতারির উপর রক্ষাকবচ দেয়। সুপ্রিম নির্দেশ মেনে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত এই মামলায় সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই৷ ৩১ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে৷
এদিকে শেখ সুফিয়ানকে রক্ষাকবচ দেওয়ার প্রতিবাদ জানান সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা৷ তিনি শীর্ষ আদালতে বলেন, ‘শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে ১৬৪টি বয়ান রয়েছে। তাসত্ত্বেও এখনও পর্যন্ত সুফিয়ানকে গ্রেফতার করা হয়নি।’ উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের বিরুদ্ধে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
গত ৩ মে নন্দীগ্রাম-১ ব্লকের চিল্লগ্রামের বাসিন্দা তথা বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতির উপর হামলার ঘচনা ঘটে৷ ভাঙচুর চালানো হয় তাঁর দলীয় সহকর্মীদের বাড়িতেও৷ ঘটনায় গুরুতর জখম হন দেবব্রত৷ তাঁকে প্রথমে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে তমলুক জেলা হাসপাতাল এবং সেখান থেকে কলকাতার এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু, সব করেও শেষরক্ষা হয়নি৷ ১৩ মে মারা যান দেবব্রত মাইতির।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আগেও ডেকে পাঠানো হয়েছিল শেখ সুফিয়ানকে৷ এই পরিস্থিতিতে কলকাতা হাই কোর্টের রক্ষাকবচ হারানোর পরই সিবিআই সুফিয়ানকে গ্রেফতার করতে পারে বলে সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল।গ্রেফতারি এড়াতে হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে শীর্ষ আদালতে যান নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা। সেই মামলাতেই রক্ষাকবচ পেলেন তিনি৷