মইদুল মৃত্যু: সাতসদস্যের তদন্ত সিট গঠন কলকাতা পুলিশের

মইদুল মৃত্যু: সাতসদস্যের তদন্ত সিট গঠন কলকাতা পুলিশের

কলকাতা: বাম কর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় আঙুল উঠছে পুলিশের দিকেই। সেই কলকাতা পুলিশই সাতসদস্যের তদন্ত সিট গঠন করলো। লালবাজার সূত্রে খবর, মইদুলকে আহত অবস্থায় জানবাজারের একটি হোটেলের সামনে পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছিল। সেই তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারিকরা। কীভাবে জানবাজারের হোটেলের সামনে এলেন মইদুল। এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে উঠেপড়ে লেগেছে লালবাজার। নবান্ন অভিযানের দিনের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কীভাবে জানবাজারের ওই হোটেলের সামনে মইদুল পৌঁছলেন, তা খতিয়ে দেখবে ওই সাত সদস্যের তদন্তকারী দল। ইতিমধ্যেই স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ।

এদিকে, সাতসদস্যের তদন্ত  সিট গঠন করলেও আগামী কাল দুদিনের সরস্বতী পূজার ছুটি কাটিয়ে হাইকোর্টের দরজা খুলতে চলেছে। অভিযোগ ইতিমধ্যেই উঠেছে পুলিসের অতি সক্রিয়তার জন্যই DYFI কর্মী মুর্শিদাবাদ কতুয়ালির বাসিন্দা পেশায় অটো চালক মইদুল ইসলাম মিদ্দার মৃত্যু হয়েছে। পুলিশের অতি সক্রিয়তার বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের হতে চলেছে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের এজলাসে। এর আগে যুগ্ম কমিশনার (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার জানিয়েছিলেন, ‘মইদুল ইসলাম মিদ্যার মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। ওই ব্যক্তি ১৪ তারিখ রাত ২টোয় ভর্তি হন লাইফ লাইন নার্সিং হোমে। কিন্তু ১১ তারিখ নবান্ন অভিযানের দিনের পর থেকে ১৩ তারিখ পর্যন্ত কোন ক্লিনিকে ভর্তি ছিলেন তিনি, কি চিকিৎসা হয়েছে সেখানে, কেনো কোনও সরকারি হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়নি এই বিষয় গুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নার্সিং হোমে ভর্তির কথা গতকাল বিকেলে প্রথম জানতে পারে শেক্সপিয়ার সরণি থানার পুলিশ। গোটা বিষয়টি গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত করে দেখছে।’ 

মর্মান্তিক এই ঘটনায় কার্যত রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে মইনুলের পরিবার। বৃদ্ধা মা, স্ত্রী এবং তিন কন্যা সন্তানের এখন কী হবে সেই প্রশ্নের উত্তর কেউ দিতে পারছেন না। পরবর্তী ক্ষেত্রে যদিওবা সরকারের তরফে কোনরকম সাহায্য আসে, তাহলেও কি শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়াতে পারবে মইনুলের পরিবার? আপাতত এই প্রশ্নের উত্তর অজানা। তবে পাড়ার ছেলে ফরিদের মৃত্যুতে আইনি পথে নামতে চান তারা, একই সঙ্গে আর্থিক সহযোগিতার আশাও রয়েছে মইনুলের পরিবারের। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কথা বলতে গিয়ে নবান্নে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি কোনও মৃত্যুকে সমর্থন করি না৷ যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক৷ একইসঙ্গে বলেছেন, যে কারণেই মৃত্যু হয়ে থাক না কেন তাঁর পরিবার যদি চায় তাহলে কোনও একজন সদস্যকে চাকরি দেওয়া হবে৷ এছাড়াও তাঁদের আর্থিক ভাবে সাহায্য করার জন্যও সরকার প্রস্তুত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

seven − 4 =