‘শিশিরবাবু থাকবেন মোদীজির সভায়, অপেক্ষা করুন’, স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু

‘শিশিরবাবু থাকবেন মোদীজির সভায়, অপেক্ষা করুন’, স্পষ্ট করলেন শুভেন্দু

চণ্ডীপুর: বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে শুভেন্দু অধিকারীর পিতা শিশির অধিকারীকে নিয়ে ব্যাপক জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। মূলত শুভেন্দু তৃণমূল কংগ্রেস থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর একে একে ঘাসফুল শিবির থেকে আক্রমণ করা হয়েছে কাঁথির অধিকারী পরিবারকে। পরবর্তী ক্ষেত্রে শুভেন্দুর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে গিয়েছেন। সাংসদ শিশির অধিকারী একাধিকবার কৌতূহল উদ্দীপক মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি খবর ছড়িয়েছে যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় উপস্থিত থাকবেন তিনি। এইজন্য সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় কিছুদিন আগে তাঁর বাড়িতে আমন্ত্রণের জন্য এসেছিলেন। আজ চণ্ডীপুরে ভারতীয় জনতা পার্টি শিবিরের নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট করলেন, শিশির অধিকারী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় থাকবেন।

এদিন শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস কোম্পানির একজন জয় শ্রীরাম বললে রেগে যান, অন্য একজন তোলাবাজ বললে রেগে যান। এদিকে কিছু সপ্তাহ আগেই সভা করতে এসে তাঁর বাবা তুলে কথা বলা হয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন শুভেন্দু। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “শিশিরবাবু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভায় থাকবেন, অপেক্ষা করুন। আমি আরো আগে বলবো চলে যেতে, ২১ তারিখ অমিতজির সভা রয়েছে“। অতএব আজকে ভাষণ দেওয়ার সময় শুভেন্দু অধিকারী কার্যত শিশির অধিকারীর বিজেপি যোগদানের ব্যাপারে সীলমোহর দিয়ে দিলেন। আপাতত এই নিয়ে আর কোন সন্দেহ থাকার কথা নয়। নিজে দলবদল করার পর নিজের বাড়িতেও পদ্ম ফোটানোর বার্তা দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর একে একে পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী পরিবারের লোকেরা দলবদল করতে থাকেন। তবে ভোটের মুখে শিশির অধিকারীর গেরুয়া শিবিরে যোগদান নিঃসন্দেহে শাসকদলের চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন: একসঙ্গে ২টি কেন্দ্রের ভোটার শুভেন্দু! কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল

এদিন অবশ্য শিশির অধিকারীকে রাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। খাতায় কলমে এখনও তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গেই থাকার প্রসঙ্গ উঠলে খানিক বিরক্তই শোনায় বর্ষীয়ান নেতার গলা। তিনি বলেন, “কে বলল আমি তৃণমূলে আছি?” অসন্তোষের কারণও এরপর স্পষ্ট করেন তিনি। বলেন, “শুভেন্দু দল ছাড়ার পর থেকে আমার বাপ ঠাকুরদার নাম তুলে ওরা গালাগালি দিচ্ছে। বলছে আমরা মীরজাফর। কার কী করেছি জানি না। মেদিনীপুরের লোকই জানে আমরা ভোগী না ত্যাগী।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *