মেদিনীপুরের মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে! এবার ক্ষোভ প্রকাশ শিশিরের

ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি স্পষ্ট জানালেন, মেদিনীপুরের মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে। শিশির অধিকারীর এই মন্তব্য ফের একবার রাজনৈতিক দলবদলের একটা ইঙ্গিত দিয়ে দিল বটে।

কাঁথি: এক ছেলে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন। আরেক ছেলে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার মুখে। এই অবস্থায় রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা গেল তৃণমূল সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শিশির অধিকারীকে। ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে তিনি স্পষ্ট জানালেন, মেদিনীপুরের মানুষ ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব দেবে। শিশির অধিকারীর এই মন্তব্য ফের একবার রাজনৈতিক দলবদলের একটা ইঙ্গিত দিয়ে দিল বটে।

করোনাভাইরাস পরিস্থিতির জন্য আপাতত বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না তিনি। এদিকে বিগত কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তার বাড়ির অন্দরের রাজনৈতিক পরিবেশ বদলে গিয়েছে সম্পূর্ণভাবে। ছেলে শুভেন্দু অধিকারী এখন বিজেপি নেতা। অন্য ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীর বিজেপিতে যোগদান হয়তো সময়ের অপেক্ষা। এদিকে বেসুরো হয়েছেন দিব্যেন্দু অধিকারীও। সব মিলিয়ে কাঁথির অধিকারী পরিবার যে ধীরে ধীরে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরের দিকে পা বাড়াচ্ছে তা বলাই যায়। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে নিজের শ্লেষ উগড়ে দিলেন শিশির। শুভেন্দু অধিকারী সহ তাঁর পরিবারকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বারবার মীরজাফর, বেইমান বলা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, মেদিনীপুরে একটাও নির্বাচিত পদ ছিল না। তিনি দলে যোগ দেওয়ার পরে একে একে সবাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিল। আর এখন তাকেই নাকি মীরজাফর আর বেইমান বলা হচ্ছে! মেদিনীপুরের মানুষ এর জবাব দেবেন। ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে জবাব পাওয়া যাবে বলে মন্তব্য করেছেন শিশির অধিকারী। একই সঙ্গে, তৃণমূল বিধায়ক ফিরহাদ হাকিমকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেছেন, সে তাঁকে ভাল-মন্দ কিছু বললে তার কিছু এসে যায় না।

একইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়ে শিশির অধিকারী জানান, তিনি আদৌ জেলা সভাপতি পদে আছেন কিনা জানেন না। শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে তাঁকে ফোন করা হয় না। এদিকে এলাকার জনসভায় এসে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব যেভাবে তাঁর পরিবারকে আক্রমণ করেছে সেটা তিনি মানতে পারেননি। এই প্রসঙ্গে তিনি যে সৌগত রায়ের কথা বলেছেন তা বলাই বাহুল্য কারণ কয়েকদিন আগেই কাঁথিতে জনসভা করে সৌগত বাবু বলেছিলেন, কাঁথি কোনো একটা পরিবারের সম্পত্তি নয়। একইসঙ্গে ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীর অপসারণের ব্যাপারেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি। শিশির জানিয়েছেন, বাড়িতে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সবচেয়ে বড় ভক্ত ছিল সৌমেন্দু। এখন তাঁকে যেভাবে অপসারণ করা হলো সেটা অনৈতিক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

one × four =