কলকাতা: দলবদল পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সংবাদ শিরোনামে রয়েছে কাঁথির অধিকারী পরিবার। তৃণমূল কংগ্রেস এবং ওই পরিবারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা হয়ে গিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী বিজেপিতে নাম লিখিয়েছেন। এদিকে শুভেন্দুর আরো এক ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীকে নিয়েও চর্চা তুঙ্গে। অবশ্য বিতর্ক থেকে বাদ যাননি তাদের বাবা তথা কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীও। তিনিও বিজেপিতে নাম লেখাতে পারেন বলে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই আলোচনা হচ্ছে। এর আগে বেশ কয়েকবার বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছিল শিশির অধিকারীকে। এবার ফের একবার জল্পনা উদ্দীপক মন্তব্য করলেন তিনি। দাবি করলেন, ‘ঘরের লোক’ তাঁকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- দুয়ারে নির্বাচন, সমুদ্র সৈকতে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মিমি
শিশির জানাচ্ছেন, শারীরিক অসুস্থতার জন্য তিনি আপাতত বাড়িতেই রয়েছেন এবং ছেলেরা তাকে বাড়ির বাইরে বেরোতে বারণ করেছে। যদিও ছেলেদের ওপর যদি কেউ আক্রমণ করে তাহলে তিনি ছেড়ে কথা বলবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! এই প্রসঙ্গে শিশির অধিকারীর স্পষ্ট বক্তব্য, বারংবার শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করা হচ্ছে এবং তাঁদের পরিবারের দিকেও আঙ্গুল তোলা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তৈরি করা হচ্ছে যাতে বিজেপিতে চলে যাবার উপক্রম হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ‘ঘরের লোকের’ দিকে। এই ঘরের লোক যে আদতে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা তা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। উল্লেখ্য, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে ব্যাপকভাবে আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে ঘাসফুল শিবিরের পক্ষ থেকে। এমনকি পদ কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটেছে। তাই পরিস্থিতি এমন যে, শিশির অধিকারী যদি হঠাৎ বিজেপিতে যোগদান করেন তাহলে অবাক হওয়ার মত কিছু থাকবে না। তবে শিশির অধিকারী যে বক্তব্য পেশ করছেন তাতে বোঝা যাচ্ছে, তিনি যদি স্বেচ্ছায় বিজেপিতে নাও যেতে চান তাহলে পরিস্থিতি তাঁকে বাধ্য করবে বিজেপিতে নাম লেখাতে।
আরও পড়ুন- অনুরাগ কাশ্যপ, তাপসী পান্নুর বাড়িতে আয়কর বিভাগের হানা
দলবদল হয়ে যাবার পর কাঁথিতে গিয়ে সভা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস, একযোগে আক্রমণ করা হয়েছে শুভেন্দু অধিকারী এবং তাঁর পরিবারকে। সেই ব্যাপারটা যে একদমই ভালোভাবে নেননি শিশির অধিকারী তা অনেক আগেই স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। এখন যদি ফের একবার সেই একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় তাহলে তিনি যে রাজনৈতিক ময়দানে নেমে আবার মোকাবিলা করতে চান, তা মোটামুটি স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এবার এটাই দেখার অপেক্ষা, আদতে রাজনৈতিক ময়দানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মুখ সমরে আসেন কিনা শিশির অধিকারী।