মাত্র ১ টাকায় সিঙারা! খেতে চাইলে যেতেই হবে শান্তিপুর

মাত্র ১ টাকায় সিঙারা! খেতে চাইলে যেতেই হবে শান্তিপুর

 

শান্তিপুর: দুর্দিনের বাজারে মাত্র এক টাকায় সিঙারা! গল্পের কহানিকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে শান্তিপুরের আড়াইশো বছরের পুরাতন মিষ্টির দোকানী।

সত্যি তো, এক টাকায় সিঙাড়া৷ ভাবতে অবাক লাগছে? অবাক লাগার মতই, শান্তিপুরের এক প্রাচীন মিষ্টির দোকানে এখনও তৈরি হচ্ছে মাত্র এক টাকায় সিঙারা। সকাল হলেই এক টাকার সিঙ্গারা কেনার জন্য ক্রেতাদের আনাগোনা লেগেই থাকে ওই মিষ্টির দোকানে। প্রাচীন এই মিষ্টির দোকান এলাকাবাসীর কাছে বটা ময়রা নামেই পরিচিত।

বর্তমানে মিষ্টির দোকানের মালিক অলক দাস জানান, তার বাবা ঠাকুর দাদার আমলের এই মিষ্টির দোকান প্রায় আড়াইশো বছরের পুরনো। তখন থেকেই সিঙারা তৈরি করেন তাঁরা৷ সেদিনের তুলনায় এখন মাত্র এক টাকায় তৈরি হচ্ছে সিঙারা। অলোকবাবু জানান, সেলের উপরে লাভ থাকে৷ তবে দোকানে নেই কোনও কর্মচারি৷ নিজেরাই তৈরি করেন এই সিঙারা। যার কারণে মানুষের হাতে তুলে দিতে পারছেন এখনও এক টাকার সিঙারা।

অলোকবাবুর কথায়, ‘‘দূরদূরান্ত থেকে অনেক মানুষ আসেন এক টাকার সিঙারা কিনতে৷ ক্রেতাদের মধ্যেও সিঙারা কেনার জন্য উৎসাহ অনেকটাই। কড়াই থেকে ভেজে নামানোর সঙ্গে সঙ্গেই বিক্রি হয়ে যায় এই এক টাকার সিঙারা৷ ফলে সারাদিনই দোকান খোলা থাকে আর মানুষ এসে প্রথমেই খোঁজ করে এক টাকার সিঙ্গারা আছে কি না!’’ বলছেন, ‘‘সত্যি কথা বলতে কি, আজকের দিনে তো এক টাকার কোনও মূল্য নেই৷ ফলে ১টাকার সিঙারা শুনে অনেকেই চমকে যান৷ তবে আমাদের ভাল লাগা এটাই যে আজ পর্যন্ত কোনও ক্রেতাকেই ফিরে যেতে হয়নি৷’’ 

অলোকবাবুর দিদি নীলিমা দাস ৬৫বছর বয়সেও ঘন্টার পর ঘন্টা বানিয়ে যাচ্ছেন এক টাকার সিঙারা। বলছেন, ‘‘হতে পারি দরিদ্র৷ কিন্তু আমাদের বংশ পরম্পরার দৌলতে আজ  শান্তিপুরের ঐতিহ্য হয়ে উঠেছে আমাদের এই সিঙারা৷ এটাই বা কম কিসের!’’ নীলিমাদেবী অবশ্য বাডা়বাড়তি কিছু বলেননি৷ এখন এক টাকার সিঙারা মানেই শান্তিপুরের সুত্রাগড় অঞ্চলের বটা ময়রার দোকান৷ যা শান্তিপুরবাসীর মুখের হাসি অটুট রেখেছে আজও৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *