‘আরেকবার ২০১৮ হলে ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা..’ বিস্ফোরক বার্তা দেবাংশুর

‘আরেকবার ২০১৮ হলে ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা..’ বিস্ফোরক বার্তা দেবাংশুর

কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্নেহধন্য তিনি৷ তুখড় বাগ্মিতা, লড়াকু মনোভাব নিয়ে দলের হয়ে লড়ে চলেছেন দেবাংশু ভট্টাচার্য৷ তাই তো তাঁর মতো তরুণ নেতার কাঁধে দেওয়া হয়েছে ত্রিপুরায় সংগঠনের দায়িত্ব৷ পুরভোটের আগে দলকে নিয়ে তৎপর দেবাংশু৷ তিনি মনে করেন, পঞ্চায়েত ভোটে দলের ‘দাদাগিরি’-তে  হিতে বিপরীত হয়েছিল। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছিল দল৷ সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি রুখতে পুরভোটে পুলিশকে ‘ফ্রি হ্যান্ড’ দেওয়ার আর্জি জানালেন এই তরুণ নেতা৷ প্রয়োজনে বিধানসভা ভোটের সময় যত সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল, তার দ্বিগুণ বাহিনী যাতে মোতায়েনের করা হয়, সেই আর্জিও জানান তিনি।

আরও পড়ুন- সংক্রমণ-মৃত্যু কমে স্বস্তি রাজ্যে, বঙ্গে বেড়েছে সুস্থতা

বৃহস্পতিবার ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু বলেন,  ‘‘ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু মানুষ ভোটে অশান্তি করেন। তাই লোকাল বডির ভোট গুলোতে অশান্তি বেশি হয়। পুলিশকে ১০০% “ফ্রি হ্যান্ড” দিতে হবে। প্রয়োজনে বিধানসভার দ্বিগুণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক…আরেকবার “২০১৮” হলে আরেকটা “২০১৯” কিন্তু সময়ের অপেক্ষা.. বারবার সবটা “২০২১” এর মতন হবে না। আর হাত জোড়া করে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেও কিন্তু মানুষ ক্ষমা করবেন না। যারা অশান্তি করেন, ভবিষ্যতে তারা অনায়াসে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেটিং করে নিতে পারবেন। তখন মার খেতে হবে কর্মীদের.. মরতে হবে সাধারণ সদস্যদের। কিছু স্বার্থান্বেষী বদমায়েশের জন্য দলের মুখে কালি লাগতে দেবেন না, একজন অতি সাধারণ কর্মী হিসেবে অনুরোধ রইল।”

এই পোস্টের ছত্রে ছত্রে গূঢ় বার্তা দিতে চেয়েছেন দেবাংশু৷ পোস্টের শেষে তিনি লিখেছেন, ‘অশান্তি বাঁধানোর পর ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেটিং’ এবং ‘স্বার্থান্বেষী বদমায়েশ’ – এসব শব্দবন্ধগুলিতে বেশ কড়া বার্তা দিতে চেয়েছেন তৃণমূলের যুব সাধারণ সম্পাদক। 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *