অভিষেকের খাস তালুকে দাঁড়িয়ে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ সরকার গড়ার ডাক সিদ্দিকির

অভিষেকের খাস তালুকে দাঁড়িয়ে ‘দুর্নীতিমুক্ত’ সরকার গড়ার ডাক সিদ্দিকির

ডায়মন্ডহারবার: নজরে ২১-এর নির্বাচন৷ বিধানসভা ভোটের আগে কোমর বেঁধে নামছে প্রতিটি রাজনৈতিক দল৷ ঝাঁঝ বাড়ছে প্রচারের৷ বঙ্গ রাজনীতির আঙিনায় ধীরে ধীরে মাথা তুলছেন আব্বাস সিদ্দিকি৷ শনিবার বিকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ডায়মন্ডহারবারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের খাস তালুকে দাঁড়িয়ে দুনীর্তি মুক্ত বাংলা গড়ার ডাক দিলেন আব্বাস সিদ্দিকি৷ 

আরও পড়ুন- বন্ধ হয়ে গেল প্রিয়া, প্রাচী, জয়া, মেনকা সিনেমা হল

রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে সম্প্রতি একটি নতুন নাম উঠে আসতে শুরু করেছে৷ আর সেটা হল ‘ভাইজান’ তথা আব্বাস সিদ্দিকি৷ তাঁর এই উত্থান ভাবতে শুরু করেছে শাসক দলকে৷ গতকাল বিকালেও আব্বাস সিদ্দিকির পৌরহিত্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল এক বিরাট জনসভা। ওই সভায় কয়েক হাজার মানুষের সমাবেশ ঘটে। উপচে পড়ে  মানুষের ভিড়। ওই জনসভা থেকেও দুর্নীতিমুক্ত বাংলা গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন সিদ্দিকি৷ পাশাপাশি আগামী ডিসেম্বর মাসেই তিনি নিজের রাজনৈতিক দল ঘোষনা করতে চলেছেন বলেও জানিয়ে দেন৷ তাঁর উত্থান নিশ্চিতভাবেই থাবা বসাবে সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে৷  

এদিন নিজের রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করে দেন সিদ্দিকি৷ তিনি বলেন, তার দল রাজ্যে ২৯৪টি আসনের মধ্যে ৪৪টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২১-এর নির্বাচনে কোনও দলিতই মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসবেন বলেও সুর চড়ান। জনসভায় এনআরসি এবং সিএএ সহ আরও অন্যান্য ইস্যুকে সামনে রেখে শাসক দলকে সরাসরি কটাক্ষ করেন এই উদীয়মান নেতা৷

আরও পড়ুন- শ্রাদ্ধের দিনেই বাড়ি ফিরলেন ‘মৃত’ করোনা-রোগী! অদ্ভুত-কাণ্ড বাংলায়!

আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় প্রার্থী দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে আব্বাস সিদ্দিকির দল৷ বিশেষ করে ক্যানিং পূর্ব ও পশ্চিম,  বাসন্তী, গোসাবা, ভাঙর, মগরাহাট, সোনারপুর সহ বিভিন্ন  বিধানসভাগুলিতে তিনি প্রার্থী দিতে চলেছেন বলেই খবর। এই বিধানসভা কেন্দ্রেগুলিতে সংখ্যালঘু, আদিবাসী, দলিত ভোটের উপর অনেকটা নির্ভর করে প্রার্থীর জয় পরাজয়। ফলে আব্বাস সিদ্দিকির দল এই বিধানসভা কেন্দ্রেগুলিতে প্রার্থী দিলে ভোট কাটাকাটিতে শাসক দলের বড়সড় ড্যামেজ হতে পারে৷ এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

অন্যদিকে, বিহারের নির্বাচনে যে ভাবে মিম ৫ টি আসনে জয় লাভ করেছে তাতে বাংলার রাজনীতিতে অনেকটা ছায়া পড়েছে। মিমও যদি দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় প্রার্থী দেয়, তাহলে শাসক দলের চিন্তার ভাঁজ আরও চওড়া হবে৷ ফলে সংখ্যালঘু ও দলিত ভোটব্যাঙ্ক কোন দিকে ঝুঁকবে বা  ভোট কাটাকাটিতে কোন রাজনৈতিক দলের কতটা সুবিধা হবে সেই অঙ্ক কষতে শুরু করে দিয়েছে শাসক দল৷ ভোটের সমীকরণ মেলানোর চেষ্টা চালাচ্ছে বিরোধীরাও৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *