কলকাতা: SSC তথা স্কুল সার্ভিস কমিশনে কোনও নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়নি। এখনও ওই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। বৃহস্পতিবার আদালতে এমনটাই জানাল রাজ্য সরকার।
বুধবার বিকেলেই খবরের শিরোনামে আসে SSC কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের নাম। একদিকে যখন SSC দুর্নীতি প্রসঙ্গে তদন্তকারী সিবিআই অফিসারদের মুখোমুখি হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঠিক তখনই সামনে আসে, কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর ঠিক পরপরই একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, SSC-এর নতুন চেয়ারম্যান হচ্ছেন আইএএস পদাধিকারী শুভ্র চক্রবর্তী। কিন্তু তার পরের দিনই আদালতে একেবারে উল্টো তথ্য দিল রাজ্য। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার তথা কমিশনের দেওয়া এই বিবৃতিকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা।
SSC দুর্নীতি মামলায় বুধবার ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। এদিন সকাল থেকেই এই দুর্নীতি মামলাকে কেন্দ্র করে নেওয়া একাধিক আইনি পদক্ষেপে কার্যত উত্তাল ছিল রাজ্য রাজনীতি। একদিকে এই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুধবার সন্ধ্যায় সিবিআই আধিকারিকদের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ পান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অন্যদিকে একাধিকবার নির্দেশ জারী করা সত্বেও রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী কার্যত বিনা নোটিশে এড়ান সিবিআই হাজিরা। কিন্তু শত চেষ্টার পরেও এবং ডিভিশন বেঞ্চে বারবার আবেদন সত্বেও শেষমেষ সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। বুধবার সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে যখন সিবিআই দপ্তরে পৌঁছান রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ঠিক তখনই সামনে আসে SSC কমিশনের চেয়ারম্যানের ইস্তফার খবর। জানা যায় কোনও কারণ ছাড়া হঠাৎই এই কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার।
সূত্রের খবর অনুসারে পরে শুনতে পাওয়া গিয়েছিল যে, SSC কমিশনের ওই পদে সরকার পক্ষের তরফ থেকে আইএএস ট্রেনের কোন অফ আধিকারিকের নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে। আর তাই ইস্তফা দিয়েছেন সিদ্ধার্থ মজুমদার। তার ইস্তফা দেওয়ার কিছুক্ষণ পরেই নবান্নের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, SSC কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান আইএএস শুভ্র চক্রবর্ত্তী। কিন্তু এত কিছুর পরেও বৃহস্পতিবার আদালতে পুরোপুরি পাল্টি খেল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর SSC কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে সিদ্ধার্থ মজুমদার পদত্যাগ করলেও তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেনি রাজ্য সরকার। আর তাই এখনও ওই কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনিই অধিষ্ঠান করছেন।