কাঁথি: ফের সাম্প্রদায়িকতার প্রশ্নে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ বললেন, ‘‘এই তোষনবাজ মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশের বর্ডার খুলে দিয়েছে। রাজাকার, জামাত, রোহিঙ্গাদের ঢোকাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমানের খুনি মাস্টার মাজেদ সেজে পার্ক সার্কাসে ১৫ বছর কাটল। এনআইএ চুলের মুঠি ধরে নিয়ে গেল৷ হাসিনা ফাঁসিতে ঝুলালো। এই গত সপ্তাহে যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ এসে কলকাতা থেকে কুড়ি জন বাংলাদেশিকে ধরে নিয়ে গেল। এই বাংলাকে বাঁচাতে হবে।”
এই প্রসঙ্গেই টেনে এনেছেন তৃণমূলের ত্রিপুরা এবং গোয়া প্রসঙ্গ৷ বলেছেন, “ত্রিপুরায় গিয়েছিল মুখে ঝামা ঘষে এসেছে। আর গোয়াতে যাদের যোগদান করিয়েছিল তারা দল ছাড়ছে। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছে সাম্প্রদায়িক। তারা বলছে হিন্দু খ্রিস্টানরা একসঙ্গে আছি, আমাদের মধ্যে বিভাজন তৈরি করছে। আমি মানুষকে অনুরোধ করব, সঙ্ঘবদ্ধ হন মনে মনে। আপনারা ভয় পাচ্ছেন নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার ঠিক থাকবে কিনা। কিন্তু সেই দায়িত্বটা শুভেন্দু অধিকারীর।” রাজ্যের তৃণমূল নেতাদের পিপিলিকার সঙ্গে তুলনা করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি ভয় পাওয়ার লোক নই। অনেক মাতব্বরকে দেখেছি, এরা পিপিলিকা। কিচ্ছু করতে পারবে না। প্রথমে কেস দিয়ে চেষ্টা করেছিল। আমার নামে অসংখ্য মামলা করেছে। প্রথমে সিঙ্গেল বেঞ্চে কান মুড়েছে। তারপর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছেন মাননীয়া৷ সেখানে কষে থাপ্পড় খেয়েছেন। তারপর গিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টে। সুপ্রিম কোর্ট বলছে শুভেন্দু অধিকারীর মামলায় ঢুকব না। তুমি যাও এখান থেকে।”
সামনেই কাঁথি পুরসভা নির্বাচন। তার আগে কাঁথির মানুষকে জাগ্রত করে তিনি বলেন, “আমি যেভাবে সামনে এসে চোখে চোখ রেখে লড়ছি, আপনাদের সামনে এসে লড়তে হবে না। একটু আড়ালে সঙ্গে থাকুন। যেখানেই ভোট হোক পুরসভা হোক, লোকসভা হোক, পঞ্চায়েত হোক কাঁথির মাটির গণতন্ত্র রক্ষা করার দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর।” নিজের দল ছাড়ার প্রসঙ্গে এদিন ফের তিনি দাবি করেছেন, ‘‘আমার কাছ থেকে কিছু কাড়িয়ে নেয়নি তৃণমূল- কংগ্রেস। আমার তিনটে মন্ত্রীত্ব ছিল৷ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে এসেছি। কারণ কোম্পানির কর্মচারী হতে পারব না। মেদিনীপুরের রক্ত আমার গায়ে আছে। আর ওই কয়লা চোর ছোঁড়াকে নেতা বলতে হবে? না, পারব না!’’