এবার ‘ঘুমিয়ে’ থাকা পুলিশ কর্মীদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

এবার ‘ঘুমিয়ে’ থাকা পুলিশ কর্মীদের খুঁজে বের করার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

 

নন্দীগ্রাম: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় সিবিআই ও সিট তদন্তের নির্দেশ জারি করেছে কলকাতা হাইকোর্ট৷ তৎপর হতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকেও৷ ইতিমধ্যে তাঁরা চারটি দল গঠন করে তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু করেছে৷ পুলিশি নিস্ক্রিয়তার অভিযোগে আগে থেকেই সরব গেরুয়া শিবিরও৷ এবার ‘ঘুমিয়ে থাকা পুলিশ কর্মীদের খুঁজে বের করার’ নিদান দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷

শুক্রবার নন্দীগ্রামে দলীয় একটি অনুষ্ঠান থেকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘এবার খুঁজে খুঁজে বের করা হবে খুনিদের। দেব্রবত মাইতির খুনি এবং খুনের চক্রান্তকারীদের, যেখানে থাকা উচিত সেখানে সে যাবে। যে পুলিশরা ঘুমাচ্ছিলেন, তাঁরাও৷’’ সিবিআই তৎপরতার পরই শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা৷

এবারের বিধানসভা ভোটে হটস্পট হয়ে উঠেছিল নন্দীগ্রাম৷ তৃণমূল বাংলার মসনদ দখলে সমর্থ হলেও দিদিমনির জয়ের স্বপ্ন পূরণ হয়নি৷ মমতা নয়, শুভেন্দুতেই আস্থা রেখেছেন নন্দীগ্রামের মানুষ৷ অভিযোগ. ফল প্রকাশের পর তাই নন্দীগ্রামে বিজেপির সক্রিয় কর্মীদের ওপর আক্রমণ তীব্রতর করে গেরুয়া শিবির৷ ভোট পরবর্তী শাসকের হিংসায় নন্দীগ্রামের কেন্দামারি, জলপাই, চিল্লাগ্রামে জখম হন বিজেপির একাধিক নেতা, কর্মী৷ শাসকের সশস্ত্র হামলায় গুরুতর জখম হন চিল্লাগ্রামের বিজেপির সক্রিয় কর্মী দেবব্রত মাইতি। ১৩ মে তাঁর মৃত্যু হয়৷ সেসময় শুভেন্দুর পাশাপাশি নিহত দেবব্রতর বাড়িতে যেতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে৷

রাজ্যপাল থেকে শুভেন্দু, শাসকের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে একযোগে সরব হয়েছিলেন৷ ঘটনাচক্রে ভোট পরবর্তী হিংসা মামলার তদন্তে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আগেই রাজ্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে৷ আদালতে জমা দেওয়া কমিশনের ‘কুখ্যাত দুষ্কৃতীর’ তালিকায় রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা ও মন্ত্রীর নাম রয়েছে৷ এক নম্বরে নাম রয়েছে রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের৷ ঘটনাচক্রে আদালতের নির্দেশেই খুন, ধর্ষণের মতো গুরুতর তদন্তে সিবিআই এবং অপেক্ষাকৃত ছোট মামলাগুলির তদন্তভার বর্তেছে সিটের ওপর৷ চারপরই শুভেন্দুর এই হুঁশিয়ারির জেরে পুলিশ মহলে শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য৷ যদিও এবিষয়ে শাসকদলের কোনও নেতা মন্তব্য করতে চাননি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *