কাঁথি: একুশের নির্বাচনে ২০০ পারের স্বপ্ন পূরণ হয়নি৷ প্রত্যাশিত ফল আসেনি৷ উল্টে দল বদলে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন বিধায়ক শাসক শিবিরে নাম লিখিয়েছেন৷ এহেন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে বাংলায় রাম রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ বললেন, ‘‘লড়াই চলছে, চলবে। যতক্ষণ না পশ্চিমবঙ্গে রামরাজ্য হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী ততক্ষণ থামবে না।”
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়া থেকে নন্দীগ্রাম, একাধিক ঠাসা কর্সূচিতে অংশ নিয়েছিলেন শুভেন্দু৷ ভোট-পরবর্তী হিংসায় নন্দীগ্রামের চিল্লগ্রামে মৃত্যু হয় বিজেপি নেতা দেবব্রত মাইতির। এদিন সেখানেই দলীয় এক অনুষ্ঠানে ‘শহিদ’ দেবব্রতর আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করতে গিয়ে একথা বলেন শুভেন্দু৷ শাসকের হিংসার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম কান্ডারি শুভেন্দু বলেন, “দেবব্রত মাইতিকেও আমি শহিদের মর্যাদা দেব। তার একটাই অপরাধ, যে সে তৃণমূল করেনি। বিজেপিকে সমর্থন করে এবং আমাকে ভোট দিয়েছে।’’
এরপরই হুঁশিয়ারি দিয়ে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে খেলা তো হচ্ছে! দিল্লিতে ডাক পড়ছে কয়লা চোরদের। খেলা হচ্ছে, সুফিয়ান হলদিয়া যাচ্ছে সিবিআইয়ের ডাকে৷ সাহবুদ্দিন ঘরে নেই, তার মেয়ে নোটিশ ধরছে। খেলা হচ্ছে, ভাইপো কয়লাকান্ডে দিল্লিতে টানা ন’ঘন্টা রগড়ে এসেছেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সিবিআইয়ের হাত ধরে কাঁদছে।”
এরপরই দলীয় কর্মীদের আশ্বস্ত করার ভঙ্গিতে শুভেন্দুকে বলতে শোনা যায়, ‘‘আপনারা চিন্তা করবেন না। আজকে দেবব্রত মাইতির খুনিরা কেমন সিবিআইয়ের কাছে যাচ্ছে আর আসছে। অপেক্ষা করুন, ১২ জন ভেতরে ঢুকবে। কেউ পালাতে পারবে না। সাহস রেখে চলুন।” এই বারো জন কে কে, তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা৷ যদিও তা অবশ্য খোলসা করতে চাননি কাঁথির দোর্দন্ডপ্রতাপ বিজেপি নেতা৷