এগরা: পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে সাধারণ কোনও মানুষ নেই৷ আছেন দুষ্কৃতীরা৷ রবিবার এগরায় এগরায় মৃত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুর কথায়, ‘‘তৃনমূল কংগ্রেস কোনও রাজনৈতিক দল নয়৷ ওটা পিসি-ভাইপোর কোম্পানি৷ ওদের সঙ্গে কোনও সাধারণ মানুষ নেই৷ কিছু চিহ্নিত দুষ্কৃতিকারী ও পুলিশ রয়েছে।’’ এগরায় নিহত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে রবিবার গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন তিনি। কথা বলেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে৷
সেখানেই সরাসরি নামোল্লেখ করে রাজ্যের লিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি৷ তিনি শুভেন্দুর কথায়, ‘‘সততার প্রতীক৷ অথচ পুরোটাই মিথ্যাচারে ভরা৷ বাংলায় আইনের শাসন নেই৷ বন্দুকের নল দিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে৷ প্রতিবাদ জানালে খুন করা হচ্ছে৷’’ কেন একথা বলছেন তাঁর ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুভেন্দু৷
তাঁর কথায়, ‘‘গত কয়েকদিন আগে এগরায় এক বিজেপি কর্মীর রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। আট দিন কেটে গেলেও পুলিশ বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না৷ খুনের ঘটনাতেও মামলা দায়ের করছে না পুলিশ৷ কারণ, এই পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় জনতা পার্টি করেন। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টি হয়ে কাজ করেছেন। তাই রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীদের আড়াল করতে তৎপর পুলিশ৷’’
গত ৩ই অগাস্ট এগরার কশবা গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিচক গ্রামের বিজেপি কর্মী তপন খাটুয়া (৪৫) বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে পুকুরপাড়ে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ গিয়ে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা বাড়তে থাকায় প্রশ্ন উঠছে পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে৷ যদিও পুলিশের কোনও কর্তার প্রতিক্রিয়া মেলেনি৷