কলকাতা: এবার ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই সরাসরি অভিযোগ আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷ শুভেন্দুর কথায়, ‘‘এই সরকার রাজ্যের ছোটখাটো বিজেপি নেতাদের ফোনও ট্যাপ করছে৷ রাজ্য প্রশাসন আমার ফোনও ট্যাপ করছে। হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইম ছাড়া কথাই বলতে পারছি না।’’
পেগাসাসের তরফে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে বিচারপতি ও সমাজের অন্যান্য স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতার অভিযোগ সামনে এসেছে৷ এদিন ভার্চুয়ালি শহিদ মঞ্চ থেকে ভাষণ রাখতে গিয়ে ওই প্রসঙ্গ টেনেই সরাসরি মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন তৃণমূল নেত্রী৷ একই সঙ্গে কেন্দ্রের সরকারকে ‘জনবিরোধী’, ‘কালা আইনের জনক’ সহ একাধিক বাছা বাছা বিশেষণে অভিহিত করেন নেত্রী৷
তারই পাল্টা হিসেবে এদিন হেস্টিংসে বিজেপির শহীদ স্মরণ থেকে সরাসরি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ করে শুভেন্দু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে হিংসার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার। ভোটের আগে তো বটেই, ভোট মিটে যাওয়ার পরও বিরোধীদের ওপর সন্ত্রাসের রাজনীতি চলছে৷’’ সম্প্রতি জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তরফে ভোট পরবর্তী হিংসার জন্য রাজ্যের কুখ্যাত দুষ্কৃতীদের তালিকা তৈরি করেছে৷ সেই তালিকায় নাম রয়েছে রাজ্যের শাসকদলের একাধিক নেতা, মন্ত্রীর৷ ওই প্রসঙ্গ টেনেই শুভেন্দু বলেন, ‘‘এই সরকার যেভাবে বাংলার মানুষের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে এবং তার নিরিখে মানবাধিকার কমিশন আদালতে যে রিপোর্ট পেশ করেছে, তাতেই স্পষ্ট হয়েছে রাজ্যের অবস্থা। গোটা দেশের সামনে রাজ্যের মাথা হেঁট হয়ে গিয়েছে৷’’
রাজনৈতিক মহলের মতে, ফোনে আড়ি পাতার বিষয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগকে কেন্দ্র করে এবার উত্তাল হয়ে উঠতে পারে রাজ্য রাজনীতি৷ কারণ, এদিন যুযুধার দুই শিবিরই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগে সরব হয়েছেন৷ আগামীদিনে আন্দোলন সংগঠিত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন৷ ফলে কোথাকার জল কোথায় গিয়ে দাঁড়ায় সেদিকেই নজর রাখছেন রাজনীতির কারবারীরা৷