তমলুক: উপ নির্বাচনের হটস্পট হয়ে উঠেছে ভবানীপুর৷ আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর উপ নির্বাচন রয়েছে এই কেন্দ্রে৷ ফল প্রকাশ হবে ৩ অক্টোবর৷ কিন্তু তার আগেই কার্যত ভবিষ্যতবাণী করে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী৷
শনিবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নিমতৌড়িতে বিজেপির সেবামূলক কর্মসূচি ও রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করেন বিজেপির নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী, তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি নবারুণ নায়ক সহ জেলার একাধিক বিধায়ক উপস্থিত ছিলেন। রক্তদান শিবিরে স্বেচ্ছায় যুবক যুবতীরা রক্তদান করেন।
ওই অনুষ্ঠানেই শুভেন্দু রীতিমতো প্রশ্নের সুরে বলেন, ‘‘কে বলেছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে এসে দাঁড়াতে?’’ জবাবও দিয়েছেন শুভেন্দু নিজেই৷ বলেছেন, ‘‘জাহাজ বাড়ির মালিকের কথায় তিনি এখানে চলে এসেছিলেন। জাহাজ বাড়ি মালিক বলেছিলেন ৮০ হাজার ভোটে আপনাকে জেতাব৷ এরপরে কত কাণ্ড ঘটেছে, ভাল পায়ে প্লাস্টার লাগিয়ে ঘুরে বেড়িয়েছেন। তারপরে মেদিনীপুরের মানুষ নন্দীগ্রামের জনগণ আমাকে জিতিয়েছেন, আপনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন।’’ শুভেন্দু বলেন, ‘‘খালা আমার নাম দিয়েছেন, ভগবানের জ্যেষ্ঠপুত্র৷ আসলে তাঁর প্রচণ্ড যন্ত্রণা৷ সেই যন্ত্রণা থেকে এসব বলছেন৷ কারণ তিনি কোনওদিনও ভুলতে পারবেন না, শুভেন্দুর কাছে হেরেছেন৷ এই যন্ত্রণা নিয়েই তাঁকে চলতে হবে৷ মাথা থেকে এ কথা কোনওদিন বের করতে পারবেন না৷’’
এরপরই গলার সুর চড়িয়েছেন শুভেন্দু৷ বলেছেন, ‘‘কে বলেছে আপনি ভবানীপুরে দাঁড়ালেই জিতে যাবেন? পিকচার আভি বাকি হ্যায়৷’’ শুভেন্দুর এহেন মন্তব্যকে কেন্দ্র করে জোর রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে৷ অনেকেই বলছেন, কেন একথা বললেন শুভেন্দু৷ তাহলে কি কোনও প্ল্যানিং করে রেখেছেন তিনি? শুভেন্দু পরে এবিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করতে না চাইলেও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, বাজার গরম করার জন্যই শুভেন্দু এমন কথা বলছেন৷ প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়ালের পরাজয় রুখতে পারবে না বুঝতে পেরেই শুভেন্দু ফাঁকা আওয়াজ তুলছেন৷