কলকাতা: করোনা নিয়ন্ত্রণে জানিয়ে দ্রুত উপ নির্বাচনের পক্ষপাতি রাজ্য৷ ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে দাবিও জানিয়ে এসেছেন তৃণমূলের প্রতিনিধিরা৷ উপনির্বাচনের পক্ষে একাধিকবার সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷ কমিশনও ইঙ্গিত দিয়েছে নির্বাচনের৷ এরই মাঝে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘‘ রাজ্য সরকার নিজেই বলছে মিটিং মিছিল হবে না৷ তাহলে উপ নির্বাচন নিয়ে লাফালাফি কেন?’’
খানিক থেমে নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী বাড়িয়েছেন রহস্য, ‘‘‘‘আমার কোনও চিন্তা নেই৷ নন্দীগ্রামে যিনি হেরেছেন তাঁর মাথাব্যাথা৷ ওই জন্য কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে উপ নির্বাচন করার জন্য লাফালাফি করছেন৷’’ স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক শিবিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা৷ আচমকা উপ নির্বাচন নিয়ে এমন মন্তব্য শুভেন্দু করলেন কেন? তাহলে কি সত্যি উপ নির্বাচন পিছিয়ে যাচ্ছে?
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিজেপির একটি অংশ প্রথম থেকেই চাইছেন যেন উপ নির্বাচন এখন না হয়৷ সেক্ষেত্রে পরাজিত হিসেবে ৬ মাসের বেশি সময় মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা যাবে না তৃণমূল নেত্রীর৷ আর সেটা হলে তৃণমূলের বিড়ম্বনা যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য৷ যদিও শুভেন্দুর দাবি কার্যত ফুৎকারে উড়িয়ে তৃণমূলের দাপুটে রাজ্য নেতা, প্রাক্তন সাংবাদিক কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘‘ওর কথায় আমরা কান দিই না৷ বলেছিল-২০০ পার করবে৷ ১০০ ও পেরাতে পারেনি৷ লজ্জা থাকলে এর পরও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে মন্তব্য করত না৷’’
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে রাজ্যের সাতটি বিধানসভা কেন্দ্র বিধায়ক শূন্য৷ এগুলি হল – মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর ও সামশেরগঞ্জ, ভবানীপুর (কৃষিমন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায় ইতিমধ্যে পদত্যাগ করেছেন৷ ওই আসন থেকে ভোটে লড়বেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়), খড়দহ , গোসাবা, দিনহাটা ও শান্তিপুর৷ স্বাভাবিকভাবেই, সংশ্লিষ্ট আসনগুলিতে দ্রুত উপ নির্বাচন করাতে মরিয়া শাসকদল৷ যদিও শুভেন্দুর এদিনের বক্তব্যের জেরে রাজ্য রাজনীতিতে তৈরি হয়েছে নয়া জল্পনা৷