শুভেন্দুকে বিপাকে ফেলতে নয়া পদক্ষেপ সৌমেনের

শুভেন্দুকে বিপাকে ফেলতে নয়া পদক্ষেপ সৌমেনের

 

কলকাতা ও তমলুক: সামনেই পুরসভার নির্বাচন৷ তারপরেই রয়েছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের নির্বাচন৷ এই দু’দফা ভোট পেরাতে পেরাতেই হাজির হবে লোকসভার নির্বাচন৷ তাই সময় থাকতে আরও বেশি করে ঘর গোছানোর কাজে মনোযোগ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল নেতৃত্ব৷ উদ্দেশ্য একটাই, জেলাকে পদ্ম মুক্ত করা৷

দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের সেচমন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র বলেন, ‘‘দলে দলে মানুষ বিজেপি থেকে তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছে৷ তৃণমূলের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে৷ সেটার যোগ্য মর্যাদা দেওয়ার জন্যই এই বৈঠক৷’’ একই সঙ্গে শুভেন্দুর নাম না করে তিনি বলেন, ‘‘আগামী দিনে এলাকায় বিজেপির ঝান্ডা ধরার মতোও লোক থাকবে না৷ কারণ, বেইমানের স্বরূপ ধীরে ধীরে সামনে আসছে৷ তাই বিজেপি ভাঙছে৷ আরও ভাঙবে৷’’

দলীয় সূত্রের খবর,  পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় নিচুস্তর থেকে সংগঠনকে ঢেলে সাজাতে শনিবার বিশেষ বৈঠকে বসেছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের দাপুটে মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র৷ নিমতৌড়ি স্মৃতিসৌধে দলের তমলুক লোকসভা এলাকার প্রথম সাংগঠনিক সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে সৌমেনবাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা, ব্লক এবং শহরের তৃণমূলের নেতৃত্ব, বিধায়ক এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতিরা।

সেখানেই সৌমেনবাবু দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য বলেন, ‘‘ভোট দেখে মানুষের কাজে গেলে হবে না৷ সারা বছর মানুষের পাশে থাকতে হবে৷ এখন থেকেই প্রতিটি বুথ ধরে ধরে কাজ করতে হবে৷ যাতে মানুষ আরও বেশি করে তৃণমূল মুখী হন৷’’ সূত্রের খবর, কর্মীদের উদ্দেশ্য বৈঠকে তিনি নির্দেশের সুরে বলেন, ‘‘জেলা থেকে বিজেপিকে নির্মূল করে দিতে হবে৷ বেইমানটাকে উচিত শিক্ষা দিতে গেলে, এটা করা জরুরি৷’’

একুশের বঙ্গ ভোটে বিপুল আসনে জয়লাভ করে তৃণমূল ক্ষমতা ধরে রাখতে পারলেও জয় আসেনি নন্দীগ্রাম থেকে৷ পূর্ব মেদিনীপুরের মোট ১৬টি বিধানসভার মধ্যে সাতটি আসনে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে গেরুয়া শিবির৷ তার মধ্যে রয়েছে হট স্পট নন্দীগ্রামও৷ ফলে নন্দীগ্রামের সেই ‘ক্ষত’ এখনও দগদগে৷ এহেন পরিস্থিতিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা থেকে পদ্মফুলকে নির্মূল করতে একগুচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন তৃণমূলের জেলা নেতৃত্বরা৷ কিভাবে খাসতালুকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর মুখ ‘কালো’ করতে হবে, দলীয় কর্মীদের তার নিদানও দিয়েছেন সৌমেন সহ অন্যান্য জেলা নেতৃত্বরা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *