তমলুক: পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দিন দিন ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠছে রাজ্যের পরিস্থিতি। ভোটের আগে বিজেপি হোক বা তৃণমূল, কেউ কাউকে এক চুল জায়গাও ছাড়তে নারাজ। ফলে একের পর এক রাজনৈতিক আক্রমণ প্রতি-আক্রমণের সাক্ষী থাকছে ভোট পূর্ববর্তী বাংলা। এই উত্তাপের আবহেই এবার শাসকদলকে ফের কড়া আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷
এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরিতে শাসক-বিরোধী সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। আর তার জেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে এক হাত নেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা। পূর্ব মেদিনীপুরের হেঁড়িয়া অঞ্চলের জনসভা থেকে শাসকদলকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ছাড়ার কোনও জায়গা নেই।’’ এখানেই শেষ নয়, এলাকার পুলিশ প্রশাসনকেও এদিন হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু অধিকারী৷
সূত্রের খবর, এদিন খেজুরিতে তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে বিজেপির সংঘর্ষ বাঁধে। শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, বিজেপির মণ্ডল সভাপতি কার্তিক বাবুকে মারধর করেছে তৃণমূলের ‘গুন্ডারা’। এদিন জনসভা থেকে তিনি বলেন, ‘‘আমার মানসিক অবস্থা ভালো না। কারণ খেজুরিতে আমাদের লোকজন মার খেয়েছে। …কার্তিক এখন তমলুকে আছে। তাঁর সিটি স্ক্যান হয়েছে। আমি এখান থেকে তমলুক যাব৷’’
এরপরই পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন তিনি৷ দোষীদের আটক করার জন্য আগামী রবিবার পর্যন্ত প্রশাসনকে সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়৷ তিনি বলেন, ‘‘আমি রবিবার অবধি পুলিশ প্রশাসনকে টাইম দিচ্ছি৷ সোমবার নবারুণবাবু আর অনুপবাবুকে নিয়ে আমি তমলুকের এসপি অফিসের সামনে বসে থাকব।’’ পুলিশের প্রতি শুভেন্দু অধিকারীর এহেন হুঁশিয়ারি রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে৷
গতকাল নন্দীগ্রামের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রীর একাধিক বক্তব্যকে এদিন কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনকে চালান। ফলে তাঁরই হাতে রয়েছে গ্রেফতারির ক্ষমতা। তিনি নিজের দলের লোকদেরকেই জেলবন্দি করে রেখেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন শুভেন্দু। উল্লেখ্য, নন্দীগ্রামের ভূমিপুত্র শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে এবারের নির্বাচনে লড়াই করতে চলেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা করেছেন তিনি। ফলে ভোটের আগে নন্দীগ্রামের তাৎপর্য ফের বৃদ্ধি পেয়েছে।