কলকাতা: রাজ্যজুড়ে বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস কর্মসূচি ঘিরে ধুন্ধুমার। রানি রাসমনি অ্যাভেনিউতে বিক্ষোভ সমাবেশের পরিকল্পনা থাকলেও শেষ মুহূর্তে রণকৌশল বদলে গান্ধীমূর্তি পাদদেশে বিক্ষোভে সামিল হন বিজেপি নেতারা৷ পুলিশ পৌঁছে ভেঙে দেয় বিক্ষোভ মঞ্চ৷ গ্রেফতার শুভেন্দু অধিকারী, দিলীপ ঘোষ, জয়প্রকাশ মজুমদার৷
এদিন রানি রাসমনি অ্যাভিনিউতে বিজেপি নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ যোগ দেওয়ার আধ ঘণ্টা আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল পুলিশ৷ বিজেপি নেতৃত্ব পৌঁছনোর আগেই কয়েকজন নেতাকে গ্রেফতরাও করা হয়৷ কিন্তু এর পরেই পুলিশকে রীতিমতো চমক দিয়ে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেন দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, জয়প্রকাশ মজুমদার, দেবশ্রী চৌধুরীরা৷
আরও পড়ুন- নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চা চক্রে দিলীপ? আমন্ত্রণ বাড়ির কালি পুজোতেও
প্রসঙ্গত, এদিন প্রথমে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁদের অবস্থান কর্মসূচি ছিল না৷ শেষ মুহূর্তে কৌশল বদল করে সেখানে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন বিজেপি নেতৃত্ব৷ শুভেন্দু অধিকারীকেও স্লোগান দিতে দেখা যায়৷ উল্লেখ্য, আজ রাজ্য জুড়ে খেলা হবে দিবস পালন করছে তৃণমূল৷ পাল্টা ‘পশ্চিমবঙ্গ বাঁচাও দিবস’ কর্মসূচি নিয়ে পথে নামে বিজেপি৷ তাঁদের বক্তব্য, সমস্ত কর্মসূচি চলছে৷ বিজেপি’র কর্মসূচি হলেই আপত্তি৷ এদিন পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বিজেপি কৌশল বদল করলেও বিক্ষোভ শুরু হওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যায় পুলিশ৷ বিজেপি’র অবস্থান বিক্ষোভ নস্যাৎ করতে একের পর এক কর্মীকে গ্রেফতার করা শুরু হয়৷ মহামারি আইনে গ্রেফতার করা হয় তাঁদের৷ শুরু হয় হাতাহাতি৷ একেবারে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে৷
আরও পড়ুন- তৃণমূলের ‘খেলা হবে’ দিবসে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংকে সামনে রেখে আশীর্বাদ যাত্রা BJP-র
পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে স্থান বদল করা হলেও বিজেপি’র অবস্থান ভেঙে দেয় পুলিশ৷ এখানে অবস্থান করা যাবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়৷ টেনে হিঁচড়ে তোলা হয় নেতাদের৷ শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকেও গ্রেফতারের চেষ্টা শুরু হয়৷ তবে তাঁদের ঘিরে রাখে কেন্দ্রীয় বাহিনী৷ এর পরেই প্রথমে গ্রেফতার করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয় জয়প্রকাশ মজুমদারকে৷ তখনও অবস্থানে অনড় ছিলেন শুভেন্দু ও দিলীপ৷ পরে তাঁদেরও গ্রেফতার করা হয়৷ পাশাপাশি মহিলা কর্মীদের তুলে নিয়ে যায় মহিলা পুলিশ৷ বাসে তোলা হয় বিজেপি নেতা কর্মীদের৷