নিজস্ব সংবাদদাতা, মহিষাদল: বিজেপির নব্য সদস্য শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে শনিবার মহিষাদলের দ্বারিবেরিয়াতে জনসভা ছিল বিজেপির৷ সেখানেই শুভেন্দুর হাত ধরে ১৫০ জন তৃণমূল নেতা যোগ দিলেন গেরুয়া শিবিরে৷ যার জেরে ফের বড়সড় ভাঙন ঘাসফুল শিবিরে৷ এদিন জনসভার মঞ্চ থেকে ভাইপোকে ফের নিশানা করলেন শুভেন্দু৷ দিলেন একের পর এক জবাব৷ এদিন ভাইপোকে তোপ দেগে শুভেন্দুর জবাব, ‘বাপ তো একটাই হয়’৷ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ডায়মণ্ডহারবারে সভা করতে এসে যুব তৃণমূলের সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, এক বাপের বেটা হলে আঞ্চলিক দল কেন গঠন করলে না শুভেন্দু৷ মহিষাদলের মঞ্চ থেকে আজ তারই জবাব দেন শুভেন্দু৷
তিনি বলেন, আঞ্চলিক দল তৈরি তিনি করতেই পারতেন৷ কিন্তু তিনি অবিবাহিত মানুষ৷ কোনও দল প্রতিষ্ঠা করলে তার অবর্তমানে সেই দলের শীর্ষে বসতেন তাঁর ভাইপো৷ তাই তা না করে তিনি বিজেপিতে যোগদান করেন৷ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে হোর্ডিং বা ফেস্টুনে লেখা ‘বাংলার গর্ব মমতা’ লেখা নিয়েও এদিন একহাত নেন শাসকদলকে৷ বলেন বিজেপি ক্ষমতায় এলে লেখা থাকবে বাংলার গর্ব স্বামী বিবেকানন্দ৷ বাংলার গর্ব বর্ণপরিচয়ের রচয়িতা বিদ্যাসাগর৷ একইসঙ্গে অভিষেকের করা প্রশ্ন তার সঙ্গে বিজেপির কী ডিল হয়েছে? তারও জবাব দেন শুভেন্দু৷ বলেন ডিল হয়েছে, স্কুলের সামনে লেখা থাকবে বাংলার গর্ব নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসু৷ বলেন ডিল হয়েছে, রাজ্যের সরকারী কর্মচারীদের ডিএ মেটাবে বিজেপির সরকার৷
একইসঙ্গে রাজ্য সরকারকে তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন, ভোট এলেই বলে শঙ্করপুরে বন্দর করে দেবে, এদের যা জমিনীতি তাতে কোথাও শিল্প হবে না বলে চ্যালেঞ্জ করেন শুভেন্দু৷ একইসঙ্গে তাঁর দাবি, ফোন তুলতে পারছেন না তিনি, ভাইপোর পুলিশ ফোন ট্যাপ করছে তাঁর৷ কোনও সমস্যা হলে তাকে হোয়াটস অ্যাপ করে দিলেই সমাধান করে দেবেন তিনি৷