বারুইপুর: দিল্লি থেকে জরুরি তলব এসেছে। রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে বৈঠক করতে মঙ্গলবার বিকেলে দিল্লির উদ্দেশ্যে উড়ে গিয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ সঙ্গে নিলেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু যাওয়ার আগে বারুইপুরের জনসভায় ফের একবার গর্জে উঠলেন মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র। ‘তোলাবাজ ভাইপো’ নাম করে বারবার আক্রমণ করেন৷ ক্ষোভ উগরে দেন বাংলার সংবাদপত্রগুলির উপরেও।
মঙ্গলবার বারুইপুরে বিশাল জনসভায় তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘লকডাউনে ছিল চাল চোর, আমফানের টাকা-ত্রিপল চোর, আর এখন টিকা চোর। ডাক্তার নার্সদের টিকা তৃণমূলী নেতারা নিয়ে নিচ্ছে।’’ তৃণমূল কংগ্রেসকে প্রাইভেট কোম্পানি বলে শুভেন্দুর কটাক্ষ, ‘‘দু’জন মিলে একটা দল চালাচ্ছে। আর আমার নামে বড় বড় কথা বলছে। একজন জয় শ্রী রাম বললেই রেগে যায়, আরেকজন তোলাবাজ বললে রেগে যাচ্ছে। একটু আগে খবর পেলাম ইডি থেকে তোলাবাজ ভাইপোর পিএ ফোন পেয়ে গিয়েছে। বলছে বিনয় মিশ্র কোথায়?” বিজেপি নেতার হুঁশিয়ারি, “এবারে ভোট হবে, কেন্দ্রীয় পুলিশ ভোট করাবে। ইলেকশন কমিশনকে ভোট করতে দিতে হবে গত লোকসভা নির্বাচনে কোথাও ভোট হয়নি। গণতন্ত্র বিপন্ন, কথা বলার অধিকার নেই। সব জায়গায় শুধু দুর্নীতি, চাকরি নেই। প্রকৃত বেতন কেউ পায় না। সরকারি কর্মচারীরা কিছু বললেই বলে, টাকা নেই দেব কী করে?”
সোমবার সংসদে পেশ হওয়া ‘সাধারণ বাজেট ২০২১’ নিয়ে এদিন বারুইপুরের মঞ্চে কথা বলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি জানান, “মোদিজি যে বাজেট করেছেন, এই বাজেট করার ক্ষমতা কারও নেই। পৃথিবীর সব দেশের বাজেটে করোনার জন্য ট্যাক্স চাপাচ্ছে, কই আমাদের বিজেপি সরকার কোনও কিছুতে ট্যাক্স চাপিয়েছে?’’ মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র এদিন ক্ষোভ উগরে দেয় বাংলা সংবাদপত্রগুলির উপরেও। তিনি বলেন, “এদিকে সরকারি কর্মচারীদের ঠিকঠাক বেতন দিতে পারছে না। কিন্তু ওদিকে খবরের কাগজগুলোকে কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে। আর সকালবেলা হলেই সবকটা কাগজ মিথ্যে কথা লিখছে। একটাও সকালবেলার কাগজকে ভরসা করবেন না। সব টাকা খেয়েছে। মোদিজি এত সুন্দর বাজেট করলেন, কিন্তু সেই বাজেট নিয়ে এই কাগজগুলোয় একটাও কথা নেই। তাই এবার পরিবর্তন করতে হবে। সোনার বাংলা গড়তে হবে। ক্যানিং, ভাঙ্গড়, মগরাহাট, কাকদ্বীপ, রায়দিঘি সব জায়গায় পরিবর্তনের হাওয়া। দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৩১-এ ৩১ করতে হবে।”