নিজস্ব সংবাদদাতা, কাঁথি: ডায়মণ্ডহারবারের সভা থেকে শুভেন্দুকে নিশানা করে উপসর্গহীন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলেছিলেন যুব তৃণমূলের সভাপতি৷ এবার নাম না করে অভিষেককে তারই পাল্টা দিলেন শুভেন্দু৷ নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানি’-র ‘ক্যানসার’ হিসেবে পালটা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। রবিবারে কাঁথির ঢোলামারি বাজার থেকে মুকুন্দপুর পর্যন্ত রোড শো করেন শুভেন্দু৷ মুকুন্দপুরের সভা থেকে এদিনও যথারীতি তৃণমূলকে নিশানা করেন তিনি৷ তবে আক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল সেই ভাইপো৷ বলেন, ‘বলছে শুভেন্দু অধিকারী উপসর্গহীন করোনাভাইরাস আক্রান্ত। দলে ছিল। আরে উপসর্গহীন হলে মরে না, বেঁচে যায়। আর তুমি তো তৃণমূল প্রাইভেট কোম্পানির ক্যানসার, এমন পচন লেগেছে। মাথা থেকে শুরু হয়েছে, বাঁচার কোনও উপায় নেই। পা হলে কেটে বাদ দিয়ে দিত। হাত হলে কেটে বাদ দিয়ে দিত। মাথায় পচন ধরেছে।’
আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করারও ডাক দেন শুভেন্দু৷ ভাইপোকে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই তোপ দেগে শুভেন্দু বলেন , শুভেন্দুর কথায়, ‘এখানে এক আইসিকে পাঠিয়েছে ভাইপো৷ যে রাতে মদ খাচ্ছে আর দিনের বেলায় ভাইপোর পা চাটছে৷’ তিনি বলেন, সোজা কী করে করতে হয় তা তাঁর জানা আছে৷ এদিন রাজ্য পুলিশকেও একহাত নেন শুভেন্দু৷ হুঁশিয়ারির সুরে জানান, রাজ্যে বিজেপি ক্ষমতা আসার পর ‘দলদাস, ক্রীতদাস’ পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে।
রবিবার শুভেন্দু অধিকারীর জনসভার পূর্বে বিজেপি কর্মী সমর্থকদের গাড়ি ভাঙচুর এর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন বিজেপি নেতা কনিষ্ক পন্ডা৷ আমতলিয়া অঞ্চলে বিজেপির ফ্ল্যাগ লাগানো গাড়ি, ট্রেকার ভাঙচুর করা হয় এবং এই ঘটনায় অনেক কর্মী সমর্থক আহত হয়। কর্মী সমর্থকরা যাতে সভায় পৌঁছতে না পারে সেই জন্যে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়ার ও অভিযোগ করা হয় বিজেপির পক্ষ থেকে।এমনকি মহিলাদের ওপরও হামলা করা হয়েছে করে বলে অভিযোগ বিজেপির। যদিও এই সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল৷