কলকাতা: প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ঘিরেও রাজনৈতিক তরজা৷ রেড রোডের কুচকাওয়াজে আমন্ত্রিতের তালিকা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নাম বাদ পড়াকে কেন্দ্র করে শুরু হল চাপানউতোর৷ এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা৷ বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে এএনআই সূত্রে খবর৷
আরও পড়ুন- বুদ্ধদেবের পদ্মভূষণ প্রত্যাখ্যান নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে! আওয়াজ তুললেন সুকান্ত
প্রসঙ্গত, কোভিড বিধি মেনে এবার সর্বোচ্চ ৬০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল৷ উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী, রাজ্যপাল, মুখ্য ও স্বরাষ্ট্র সচিব৷ এদিকে আমন্ত্রণ না পেয়ে শুভেন্দু বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর এই প্রথম৷ গত বছরেও কোভিড পরিস্থিতি ছিল৷ অথচ তার মধ্যেও আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন প্রাক্তন বিরোধী নেতা আবদুল মান্নান। সরকারের পক্ষ থেকে কার্ড পাঠানোর পাশাপাশি ফোনও করা হয়েছিল। এবারেই ব্যতিক্রম৷ নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার কাছে হেরেছেন৷ আমার মনে হয়, সেই যন্ত্রণা থেকেই তিনি আমাকে ডাকতে দেননি। তাঁর নির্দেশেই এটা হয়েছে। ক্যান্সারেরও কেমো বেরিয়েছে। কিন্তু হিংসার কোনও ওষুধ এখনও নেই। আমার কাছে পরাজিত হয়েই এত হিংসা। চিরদিনই তো লেখা থাকবে-হেরেছি, হেরেছি, হেরেছি।’
এদিকে আমন্ত্রণ বিতর্কে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘ঠিক বলতে পারব না। তবে উনি আসেন না। ১৫ অগাস্টের অনুষ্ঠানেও ওঁর আসন ফাঁকা ছিল।’’ আমন্ত্রণ ইস্যুতে কংগ্রেস নেতা প্রদীপ ভট্টাচার্যের বক্তব্য, ‘‘বিরোধী দলকে কী ভাবে ও কত খানি সম্মান দিতে হয়, সেই বিষয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের চিন্তাভাবনা প্রায় এক৷ কোনও সরকারই বিরোধীদের মর্যাদা দিতে পারে না৷’’
অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধুকারীকে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ না জানানোর নিন্দা করেছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিরোধী দলের কোনও সম্মান নেই৷ তাদের উপযুক্ত স্থান দেওয়া হচ্ছে না। যে হারিয়েছে, তাকে সম্মান দেওয়া উচিত। পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্র নেই৷