ঝাড়গ্রাম: দু’জনে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা। সরকারি অনুষ্ঠানে দু’জনেরই নাম আছে। একজন এলেন। অন্যজন এলেন না। শুধু এলেন না নয়, তিনি সরকারি অনুষ্ঠানের ৫ কিলোমিটার দূরে স্থানীয় একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন৷ একজন পার্থ চট্টোপাধ্যায় অন্যজন শুভেন্দু অধিকারী৷ আদিবাসী দিবস উপলক্ষে ঝাড়গ্রামের একটি অনুষ্ঠানে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এলেও শুভেন্দু অধিকারী এলেন না। আর তাতেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন-জাতীয় পাখিই জাতীয় পুরস্কার এনে দিল রানাঘাটের তাঁতশিল্পী সরস্বতীকে!
সরকারি অনুষ্ঠানে নাম থাকলেও কেন শুভেন্দু অধিকারী এলেন না, এই নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। তবে বিতর্ক কিছুটা এড়িয়ে গেলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, শুভেন্দু এলে ভালো লাগত। এই নিয়ে নতুন কোনও বিতর্ক তিনি চান না৷ বিতর্কে জল ঢালকে চেয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও৷ তিনি ঝাড়গ্রামের নেদাবহড়া পিয়ালগেড়িয়ার হওয়া ওই বেসরকারি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে, সরকারি অনুষ্ঠানে থাকতে না পারার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন৷ এরপর তিনি রবিবার কতগুলি অনুষ্ঠানে যেতে হবে তার বর্ণনাও দেন৷
আরও পড়ুন- জাতীয় পাখিই জাতীয় পুরস্কার এনে দিল রানাঘাটের তাঁতশিল্পী সরস্বতীকে!
তবে এটাই প্রথম নয়, আগেও একের পর এক সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। ঝাড়গ্রাম জেলা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করার পর থেকেই সেখানকার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু ২০১৯ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ঝাড়গ্রামের সহ পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়৷ এরপর থেকেই দুই মন্ত্রীর মধ্যে দুরত্ব বেড়ে চলেছে বলেই ওয়াকিবহল মনে করছে৷ যদিও, এর আগে তৃণমূলের গুরুপূর্ণ বৈঠকেও শুভেন্দুর গরহাজিরা নিয়েও শুরু হয়েছিল চর্চা৷