‘তৃণমূল ভাঙতে পারেনি, তাই পুলিশের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে হামলা হচ্ছে’, মন্তব্য শুভেন্দুর!

‘তৃণমূল ভাঙতে পারেনি, তাই পুলিশের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে হামলা হচ্ছে’, মন্তব্য শুভেন্দুর!

641df0e7f408a31a95b595828bdc4ef5

তমলুক: রাতের অন্ধকারে ‘পুলিশের পোশাক’ পরে ময়নায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী৷ তাঁর দাবি, ‘‘পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে, ময়নার ওসির তত্ত্বাবধানে রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা হচ্ছে৷’’

কেন এই পুলিশি হামলা তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন শুভেন্দু৷ তাঁর কথায়, ‘‘ময়নায় ২০১৯ সালে ৮ হাজার লিড ছিল। ২০২১ সালের ১৩ হাজার লিড৷ ফলে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির দূর্গ ভাঙতে পারেনি৷ এখন পুলিশ সেই দায়িত্ব নিয়েছে। পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে রাতের অন্ধকারে পুলিশের র‍্যাফ পোশাক পরে তৃণমূলের বাড়িতে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানো হচ্ছে।’’

শুভেন্দুর অভিযোগ, পূর্ব মেদিনীপুর ময়না বাকচা অঞ্চলের খিদিরপুর গ্রামের পুলিশের পোশাক পরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন দুই বিজেপি কর্মী৷ তাঁদের দেখতে মঙ্গলবার রাতে তমলুক জেলা হাসপাতালে হাজির হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেখানেই একথা বলেন শুভেন্দু৷ প্রশ্ন তোলের রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার হাল নিয়েও৷ রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কথায়, ‘‘সরকারি হাসপাতালে কিছুই নেই। সরকারি হাসপাতালে দুর্গন্ধ৷ কোনও চিকিৎসা হয় না৷ ওদের এখানে ফেলে রাখব না৷ দ্রুত উন্নততর চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরিত করব৷’’

ময়না বিধানসভার বাকচা অঞ্চলের খিদিরপুরে গ্রামের গোলাপাতাতে দুই ভাই মধুসূদন রানা ও জয়দেব রানা বিজেপি সমর্থক। সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় এলাকায় বসেছিলেন দুই ভাই। তখনই পুলিশের জলপাই পোশাক পরে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ধারাল অস্ত্র নিয়ে এসে দুই ভাইয়ের উপর চড়াও হয় বলে বিজেপির অভিযোগ৷ তারই প্রতিবাদে এদিন নন্দীগ্রামের সভা থেকে কড়া হুঁশিয়ারি দেন শুভেন্দু৷ শুক্রবার ওই গ্রাম পরিদর্শনে যেতে পারেন শুভেন্দু৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *