কলকাতা: মেক্সিকো সীমান্তে তৈরি করা হোক লম্বা প্রাচীর। তার জন্য মার্কিন কংগ্রেসে ৫০০ কোটি ডলারের অনুমোদন চেয়েছিলেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। তীব্র আপত্তি জানিয়ে সরব হন ডেমোক্র্যাটরা। তুমুল বিরোধিতার মুখে অনড় ট্রাম্পের পালটা চাল। সই করলেন না সরকারি ব্যয়বরাদ্দে। আর এর জেরে বড়দিনের ছুটির মরশুমে মার্কিন সরকারি দপ্তরগুলির ঝাঁপ বন্ধ হতে শুরু করেছে৷ আক্ষরিক অর্থেই শাটডাউন৷ এবার কলকাতায় অবস্থিত আমেরিকান সেন্টারও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ পরবর্তী বিজ্ঞপ্তি না আসা পর্যন্ত কলকাতায় মার্কিন সেন্টার বন্ধ থাকবে বলে জানা গিয়েছে৷
আক্রান্ত ৮ লক্ষ কর্মী। মোট একুশ লক্ষ সরকারি কর্মীর তিনভাগের একভাগের বেশি। এর মধ্যে ৩,৮০,০০০ কর্মীকে পাঠানো হয়েছে বাধ্যতামূলক ছুটিতে। বাকি ৪,২০,০০০, যাঁরা কাজ করেন জরুরি পরিষেবায়, তাঁদের কাজ করে যেতে হবে বিনা বেতনে। কতদিন এই শাটডাউন থাকবে, কেউ জানে না। ট্রাম্প দু’রকম কথাই বলছেন। যেমন শুক্রবার বিল পাশ না হওয়ার জন্য ডেমোক্র্যাটদের ঘাড়ে দায় চাপিয়ে বলেছেন, ‘আজ রাতে শাটডাউন হবে কি, হবে না, নির্ভর করছে ডেমোক্র্যাটদের উপর।’ যোগ করেছেন, ‘আশা করছি আমরা তা করব না, তবে দীর্ঘ শাটডাউনের জন্য আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত।’
স্থানীয় সময় শনিবার বেলা ১২.০১। শুরু হয়ে গিয়েছে শাটডাউন। ইতিমধ্যেই ছুটিতে যেতে বলা হয়েছে নাসা’র অধিকাংশ কর্মীকে। মাইনে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মার্কিন বিদেশদপ্তর, বাণিজ্য, হোমল্যান্ড সিকিওরিটি (অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা), বিচারবিভাগ ও কৃষিদপ্তরগুলির বহু কর্মীকে। ক্রিসমাসের ছুটির মরশুমের গোড়া থেকেই মাইনে না পাওয়া বা চাকরি যাওয়ার আশঙ্কায় কার্যত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছেন ৮ লক্ষ মার্কিন সরকারি কর্মী।