কলকাতা: ব্যাপারটা আছে এইরকম হবে তা অনেক আগে থেকেই হয়তো আন্দাজ করা গিয়েছিল। এদিন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দেন ভবানীপুরের বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। অনুমান করা হচ্ছে এই কেন্দ্র থেকে উপনির্বাচনে লড়তে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক ভবিষ্যত এখন কোন দিকে যাবে তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। মনে করা হচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি রাজ্যসভা যেতে পারেন। কারণ সেখানে দুটি আসন ফাঁকা রয়েছে। কবে আদতে সেই রকম কোন ব্যাপার ঘটছে কিনা তার ইঙ্গিত এখনও স্পষ্ট ভাবে মেলেনি।
এবারের বিধানসভা নির্বাচনের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে লড়াই করার জন্য ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী বদল হয়েছিল এবং সেখানে লড়াই করেন শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তবে নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হওয়ার পর প্রায় সবাই ভেবেছিলেন যে তিনি ফের ভবানীপুর কেন্দ্র থেকেই উপনির্বাচন লড়তে পারেন। যদিও খড়দহের তৃণমূল কংগ্রেস বিজয়ী প্রার্থী কাজল সিনহার মৃত্যুর পর অনেকের ধারণা হয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হয়তো সেখান থেকে লড়বেন। কিন্তু অমিত মিত্র অর্থমন্ত্রী হওয়ায় তাঁকে কোন এক কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়ে আসতে হবে। এই প্রেক্ষিতে ব্যাপারটা কার্যত পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে খড়দহে কেন্দ্রে হয়তো লড়বেন অমিত মিত্র এবং ভবানীপুরে লড়তে পারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আদতে ব্যাপারটা হয়তো সেই দিকেই যাচ্ছে।