কলকাতা: কলকাতা পুরভোটে টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ শোভনদেবপুত্র সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়৷ টিকিট না পেয়ে টুইট করেন সায়ন৷ তিনি লেখেন, ‘যখন আত্মত্যাগের প্রয়োজন ছিল, তখন আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল৷ আত্মত্যাগের পর বলা হচ্ছে, এখনও তোমার সময় আসেনি৷ সময় না আসা পর্যন্ত অন্যের হয়ে হাততালি দিতে হবে৷ এটাই নীতি কথা৷’
আরও পড়ুন- ‘লড়তে হয় তাই লড়া’! কলকাতা পুরভোট নিয়ে চাপই নিচ্ছে না গেরুয়া শিবির
শুক্রবার পুরভোটের তালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। প্রত্যাশা থাকলেও তালিকায় নাম আসেনি শোভনপুত্রের। শুধু শোভন পুত্রই নন, অনেক নেতারই পরিজনরা প্রার্থী তালিকায় ঠাঁই পাননি৷ দীর্ঘ দিন ধরে দলের সঙ্গে যুক্ত থাকার পর সায়নদেবকে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল৷ আবার অনেকেই ভেবেছিলেন শোভনদেবের ত্যাগের ফল স্বরূপ টিকিট পাবেন তাঁর পুত্র৷ কিন্তু সেটা হয়নি৷ পুরভোটের টিকিট না পাওয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন সায়নও৷ তবে সায়নদেব টিকিট না পেলেও টিকিট পেয়েছেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ছেলে সৌরভ বসু ও মন্ত্রী শশী পাঁজার মেয়ে পূজা।
When they needed his sacrifice, they assured, when the sacrifice was made, they said—- Its not yet time.
Moral of the Story – until its your time, keep clapping for others.— Sayan Deb Chatterjee (@sayangalaxy) November 26, 2021
এদিকে সায়নদেবের টুইটে বিতর্ক তৈরি হতেই ড্যামেড কন্ট্রোলে নামেন মন্ত্রীপুত্র৷ নতুন করে টুইট করে তিনি লেখেন, ‘‘আমার টুইট ঘিরে অনেক জল্পনা চলছে ৷ অনেকেই এতে রং চড়ানোর চেষ্টা করছেন। রাজনৈতিকভাবে-আমি আসন্ন কেএমসি নির্বাচনে সকল তৃণমূল মনোনীত প্রার্থীদের আমার শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। আমরা জিতব৷ দিদি জিতবে। সবিজ আবির খেলা হবে৷
অন্যদিকে আবার পুরভোটে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ওয়ার্ডে টিকিট পেয়েছেন স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়৷ শোভন কলকাতার মেয়র পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্ব সামলে এসেছেন রত্নাই৷ এবার খাতায় কমলে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হওয়ার সুযোগ তাঁর কাছে৷ এটা খানিকটা প্রত্যাশিতও বটে৷ রত্নার কথায়, কোনও দিন ভাবিনি বিধায়ক হব৷ তবে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার হওয়ার ইচ্ছেটা অনেক দিনের৷
শোভন ইস্তফা দেওয়ার পর ওয়ার্ডের যাবতীয় কাজ তিনিই সামলেছেন৷ একজন কাউন্সিলারের মতোই দায়িত্ব পালন করেছেন৷ টিকিট পেয়ে রত্না বলেন, ‘এই ওয়ার্ডের সঙ্গে আত্মিকভাবে জড়িয়ে গিয়েছি৷ কাজ করার সময় আমার কখনই মনে হয়নি আমি এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নই।’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতেই ভোলেননি রত্না৷ তিনি বলেন, ‘‘পুর ভোটের টিকিট পাওয়াটা অনেকটাই প্রত্যাশিত তবে আমি কখনও ভাবিনি বিধায়ক হব৷ সেই সম্মান দেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ। তবে আমার আশা ছিল ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হব।’
উল্লেখ্য, এই ওয়ার্ড থেকে লড়েই মেয়র হয়েছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়৷ কিন্তু ক্রমশ দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় তাঁর৷ ২০১৮ সালে ইস্তফা দেন৷ এর পর থেকেই স্বামীর শূন্যস্থান পূরণ করে এসেছেন রত্না৷ তবে তৃণমূলের এক ব্যক্তি এক পদ নীতি চালু হওয়ার পর কোনও বিধায়ক পুরভোটের টিকিট পাবেন কিনা, তা নিয়ে সংশয় ছিল৷ তবে শুধু রত্নাই নয়, কলকাতা পুরভোটে টিকিট পেয়েছেন আরও ছয় বিধায়ক৷