কলকাতা: কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ পরেও নাটকের শেষ হচ্ছে না। মঞ্চের একদিক থেকে নাটক কার্যত একাই জমিয়ে রেখেছে শোভন-বৈশাখী জুটি। একদিকে যেমন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা হচ্ছে না বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়, অন্যদিকে তেমন ‘রিস্ক বন্ড’ দিয়েও বাড়ি যেতে চেয়ে বারবার আর্জি জানালেন শোভন। নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে করলেন কটাক্ষ।
শনিবার দুপুরে এসএসকেএম হাসপাতালে শোভনের যথাযথ চিকিৎসা হচ্ছে না বলে দাবি করেন তার বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “শোভন আগে থেকেই অসুস্থ ছিল। এখানে ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না ওর। খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন উনি। আদালত যেখানে গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দিয়েছেন সেখানে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে কেন? এটা অগণতান্ত্রিক। সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থা এসএসকেএম হাসপাতালে। ফিরহাদ হাকিম মন্ত্রী বলে আমি বাড়ি চলে যেতে পারবেন, আর সাধারন মানুষ পারবেন না কেন? মুখ্যমন্ত্রীকে আমি হাতজোড় করে অনুরোধ করছি, এসব বন্ধ করুন। এতে শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে শোভনের।”
অন্যদিকে হাসপাতালে জানলা দিয়ে কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় জানালেন, “আমি বাড়ি ফিরতে চাই। আমাকে এখানে আটকে রাখা হয়েছে। রিস্ক বন্ড দিয়ে হলেও বাড়ি যেতে চাই। আমাকে ডিসচার্জ করা হোক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।” শোভনের দাবি, বেহালায় আমার বাড়ি আছে৷ সেখানে যিনি বসবাস করছেন, তাঁর সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ এই চক্রান্ত করে আমাকে দমানো যাবে না৷ বৈশাখীদেবীর দাবি, শোভনবাবুকে পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফেরার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ কোথা থেকে এই চাপ আসছে জানি না৷ এই চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ যা পরিস্থিতি, সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থা এখন এসএসকেএমে৷
নাম না করে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, “যারা বিভিন্ন সময়ে বহুদিন ধরে জেলে থেকেছে তারা আজকে তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে বৈশাখী বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে কথা বলছে। উনি আমার শরীরের খেয়াল রাখেন। আমাকে সারাদিনে বহু ওষুধ খেতে হয়। উনি আমার দেখাশোনা করেন। তৃণমূলের এই মুখপাত্র মহিলাদের নিয়ে যা বলছেন তাতে দলকেই একদিন লজ্জা পেতে হবে।”