অবশেষে হাসপাতাল থেকে ‘ছুটি’ শোভনের! তুঙ্গে গৃহবন্দির প্রস্তুতি!

অবশেষে হাসপাতাল থেকে ‘ছুটি’ শোভনের! তুঙ্গে গৃহবন্দির প্রস্তুতি!

 

কলকাতা: তাঁকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে৷ সুস্থ হয়ে উঠলেও হাসপাতাল থেকে ছাড়া হচ্ছে না৷ নেপথ্যে রয়েছে চাপ৷ বন্দিদশায় হাসপাতালের বারান্দা থেকে সংবাদমাধ্যমে বোমা ফাটানোর কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে ফের জেলে ফিরতে হল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে৷ রিস্ক বন্ডে সই করার পর শোভনকে এসএসকেএম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। এরপর নিয়ে যাওয়া হবে বাড়িতে৷ নারদ মামলার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতারির পর হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁকে ‘গৃহবন্দি’ থাকতে হবে৷ সূত্রের খবর, হাসপাতাল থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পর শোভনের গৃহবন্দি রাখার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

আজ বিকেলে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি নারদে ধৃত শোভন চট্টোপাধ্যায়ের চিকিৎসা নিয়ে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তাঁর বন্ধু বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ হাসপাতালে দাঁড়িয়ে বৈশাখীদেবীর অভিযোগ, শোনভবাবুকে জোর করে আটকে রাখা হচ্ছে৷ খেতে দেওয়া হচ্ছে না৷ তাঁকে হেনস্থা করা হচ্ছে৷ রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও অভিযোগ তোলেন বৈশাখী৷ পরে হাসপাতালের বারান্দায় দাঁড়িয়ে সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন হয়ে আরও গুরুতর অভিযোগ তোলেন খোদ শোভন চট্টোপাধ্যায়৷

সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বৈশাখীদেবী জানান, শোভনের চিকিৎসা ঠিকঠাক করা হচ্ছে না৷ তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না৷ চক্রান্ত করা হচ্ছে৷ খাবার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে৷ হেনস্থা করা হচ্ছে৷ আদালত গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিলেও হাসপাতালে আটকে রাখা হচ্ছে৷ এটা পুরোপুরি অগণতান্ত্রিক৷ ফিরহাদ হাকিম মন্ত্রী বলে বাড়ি চলে গিয়ে প্রশাসনিক কাজ করছেন৷ সাধারণ মানুষ হয়ে কেন ছাড়া পেলেন না শোভন?

বৈশাখীদেবীর আরও অভিযোগ, শোভনবাবুকে পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফেরার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে৷ কোথা থেকে এই চাপ আসছে জানি না৷ এই চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ যা পরিস্থিতি, সিবিআই হেফাজতের থেকেও খারাপ অবস্থা এখন এসএসকেএমে৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বৈশাখীদেবীর আর্জি, লাগাতার এই জিনিস চলছে৷ এটা থামান৷ এতে শোভনের শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে৷ কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে৷ নিরাপত্তারপক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে৷ কারা করছে সব ছবি আছে বলেও দাবি করেন বৈশাখীদেবী৷ এরপর হাসপাতালে বন্দি থাকা অবস্থায় সাংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায় জানান, তাঁর উপর চাপ বৃদ্ধি করা হচ্ছে৷ বলেন, আমাকে এখান থেকে ডিসচার্জ করা হোক৷ আমি বন্ড নিতে চাইছি৷ তাও মুক্তি দেওয়া হচ্ছে না৷ বেহালায় আমার বাড়ি আছে৷ সেখানে যিনি বসবাস করছেন, তাঁর সঙ্গে আমার ৩ বছর ধরে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে৷ আমাকে চক্রান্ত করে কোনও ভাবেই দমানো যাবে না৷’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × two =