হাওড়া: জওয়ানদের মধ্যে বিবাদকে জেরে ভোটের শুরুতেই চলল গুলি৷ একটি-দুটি নয়, পরপর চলল ১৮ রাউন্ড গুলি৷ সহকর্মী জওয়ানের ছোঁড়া গুলিতে মৃত্যু হয়েছে এক জওয়ানের৷ গুলি লেগে জখম দুই জওয়ানের৷ বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে হাওড়ায়৷ এলাকা ঘিরে রেখেছে বিশাল পুলিশ বাহিনী৷ ঘটনায় রিপোর্ট তলব কমিশনের৷
জানা গিয়েছে, বাগনানের জ্যোতির্ময় গার্লস স্কুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়৷ অভিযোগ, আজ সকালে হঠাৎ জওয়ানদের মধ্যে বচসা বাধে৷ একে অপরের উপর চড়াও হয়৷ গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে ক্যাম্পের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে৷ হাতাহাতি গড়ায় গোলাগুলিতে৷ অভিযোগ, লক্ষ্মীকান্ত বর্মণ নামের এক জওয়ান তাঁর রাইফেল থেকে গুলি চালান৷ পরপর ১৮ রাউন্ড গুলি চালানো হয়৷ এলোপাথাড়ি গুলিতে জখন হন তিন জওয়ান৷ পরে তাঁদের উদ্ধার করে বাকি জওয়ানরা হাসপাতালে নিয়ে যান৷ সেখানেই এএসআই ভোলানাথ দাসের মৃত্যু হয়৷ গুরুতর জখম হন রন্টুমনি বোধক, অনিল রাজবংশি নামের দুই জওয়ান৷
তবে, বচসার অভিযোগ উড়িয়ে জওয়াদের একাংশ জানিয়েছেন, ছুটি না পেয়ে গুলি চালাল ক্ষুব্ধ ওই জওয়ান। নির্বাচন সংক্রান্ত কারণেই হাওড়ায় এসেছিলেন লক্ষ্মীকান্ত৷ ছুটি না পেয়ে অসম রাইফেলসের এক ক্ষুব্ধ জওয়ান ইনসাস রাইফেল নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে থাকেন। মোট ১৮ রাউন্ড গুলি চালান তিনি। গুলি লাগার ফলে ঘটনাস্থলেই এক এসআইয়ের মৃত্যু হয়। জখম হন আরও দু’জন জওয়ান। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁদের কলকাতার হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত জওয়ানকে।