হিটলার ভৌমিক, বালুরঘাট: রাজ্যে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রভাব প্রথম দিকে খুব একতা দেখা যায়নি উত্তরবঙ্গে। কিন্তু ধীরে ধীরে বিপুল হারে সংক্রমণ হতে শুরু করে সেখানেও। ফলে লকডাউন এবং করোনা সংক্রান্ত আরও নিয়মবিধি পালন করতে হয়। এই কারণেই প্রবল ব্যবসায়িক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে প্রতিষ্ঠানগুলোর। এই একই চিত্র দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের। লকডাউনের দিন তো গোটা দিন বন্ধ সেই সঙ্গে অন্যান্য দিনে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ২টো পর্যন্ত দোকানপাট খুলে রাখার ছাড়পত্র রয়েছে। এতে মার খাচ্ছে ব্যবসাপাতি।
এই বিপুল পরিমাণ লোকসান বন্ধ করতে জেলা প্রশাসনের কাছে ব্যবসায়ী সমিতি একজোট হয়ে আবেদন করে যাতে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখতে দেওয়া হয়। সমিতির পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, অল্প সময় দোকান খোলা থাকার ফলে বাড়ছে ভিড় এবং সেই সঙ্গে বাড়ছে সংক্রমণের আশঙ্কাও।
আজ মঙ্গলবার বালুরঘাট শহরের ব্যবসায়ী সংঘের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলাশাসক নিখিল নির্মল সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। আর এই বৈঠক থেকেই বেরিয়ে এসেছে একটি সমাধান সূত্র। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, এখন থেকে ব্যবসায়ীরা দুপুর ২টোর পরিবর্তে বিকেল চারটে পর্যন্ত তাদের প্রতিষ্ঠান খোলা রাখতে পারবেন। পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দোকানদার ও ক্রেতাদের মুখাবরণ (মাস্ক) পরা, স্যানিটাইজার ব্যবহার সহ কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সমস্ত রকম নিয়মাবলি কঠোর ভাবে পালন করতে বলা হয়েছে।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে বালুরঘাট ব্যবসায়ী মহল। তাদের আশা, লোকসানের কিছুটা এবার হয়তো পুষিয়ে নেওয়া যাবে। সময় বেড়ে যাওয়াতে ভিড় কমবে, ফলত, সংক্রামিত হওয়ার আশঙ্কাও কমবে অনেকটাই। সবমিলিয়ে প্রশাসনের সহযোগিতায় যথেষ্টই খুশি বালুরঘাট ব্যবসায়ী সমিতি।