ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বিজেপি নেতা শীলভদ্র! ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক

ভ্যাকসিন নিচ্ছেন বিজেপি নেতা শীলভদ্র! ছবি ভাইরাল হতেই বিতর্ক

কলকাতা: করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন প্রদান শুরু হওয়ার আগে থেকেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছিল প্রাথমিক পর্যায়ে কারা কারা ভ্যাকসিন পাবেন। সেই তালিকায় স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশকর্মী থেকে শুরু করে ডাক্তার এবং নার্সদের উল্লেখ ছিল। কিন্তু দেখা যাচ্ছে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের কয়েকজন ইতিমধ্যেই টিকা নিয়ে নিয়েছেন। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের নাম করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার তালিকায় থাকায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এবার বিতর্কে জড়াল বিজেপিও। করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন নিতে দেখা গেল বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্তকে। ছবি ভাইরাল হতেই অস্বস্তি বেড়েছে গেরুয়া শিবিরে।

সম্প্রতি ব্যারাকপুর বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে সদ্য বিজেপিতে নাম লেখানো নেতা শীলভদ্র দত্ত করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় এখন বিতর্কে জড়িয়েছে খোদ গেরুয়া শিবির। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, স্বাস্থ্যকর্মী না হয়েও কি করে এখন ভ্যাকসিন নিলেন শীলভদ্র দত্ত। যদিও এর সপক্ষে যুক্তি দিয়ে জানানো হয়েছে বি এন বোস মহাকুমা হাসপাতালে রোগী কল্যাণ সমিতির সদস্য তিনি। সেই প্রেক্ষিতে টিকা নিয়েছেন শীলভদ্র দত্ত। যদিও সাধারণ মানুষের কাছে এই অজুহাত ধোপে টিকছে না। এক্ষেত্রে কোনো প্রতিক্রিয়া মেলেনি পদ্ম শিবির থেকেও। এর আগে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক এর নাম করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন নেওয়ার তালিকায় থাকায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছিল। এবার তো খোদ টিকা নিতে দেখা গেছে বিজেপি নেতাকে।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী স্পষ্ট বলেছিলেন, যাদের সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি তারাই আগে টিকা পাবেন। একইসঙ্গে প্রথম টিকা লাগানোর পর দ্বিতীয় টিকা কখন লাগবে সেই সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পৌঁছে যাবে গ্রহীতার মোবাইল ফোনে। দেশবাসীকে আরো একটি ব্যাপারে স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। একটি নিয়ে অপরটি ভুলে গেলে কখনই চলবে না। দুটি ডোজের মধ্যে কমপক্ষে এক মাসের অন্তর রাখা হবে। দ্বিতীয়বার টিকা নেওয়ার ১৪ দিন পরেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করবে ভ্যাকসিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *